২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। সেই হওয়া ইস্তক সিবিআই-এর স্ক্যানারে থাকা ‘নজরে’ থাকা মোট ২৫ জন বিরোধী নেতা-নেত্রী দলবদল করেছেন। বিজেপি কিংবা তার সহযোগী দলে যোগ দিলেই তার বিরুদ্ধে চলা মামলা চলে গিয়েছে হিমঘরে। বুধবার এই সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং তারপরেই হইচই পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ওই তালিকায় থাকা ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জনই সিবিআই থেকে বেকসুর খালাস হয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে। এঁদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ২০ জনের ক্ষেত্রে তদন্ত চলে গিয়েছে ‘হিমঘরে’।
তবে এই ঘটনা ভারতীয় রাজনীতিতে গত এক দশকে মোটেই নতুন নয়। তৃণমূল, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি-সহ একাধিক বিরোধী দল বারংবার বিজেপির এই ওয়াশিং মেশিন রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির রথের চাকা যেই গতিতে চলার এবং যেই খাতে চলার সেভাবেই চলেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনের স্পষ্টই মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে হাতের পুতুলের মতো ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ইডি কিংবা সিবিআইয়ের মত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কেবলমাত্র রাজনীতির একটি হাতিয়ার করে তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।