পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল ও শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে চলমান সংঘাত আরও তীব্র হয়েছে। এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্যের মানহানি করার অভিযোগ দায়ের হল। গত ১৫ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগে বাধা দিচ্ছেন। এর প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের বাইরে ধর্নার হুঁশিয়ারিও দেন।
তার ঠিক একদিনের ব্যবধানে রাজ্যপাল ভাঙা বাংলায় পালটা জবাব দেন। তিনি বলেন, সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ, কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে, আবার কেউ রাজনৈতিক খেলায় ব্যস্ত। এই বক্তব্যের পর ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন। তারা বলেন, রাজ্যপালের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই বক্তব্যে তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সরকার মনোনীত উপাচার্যদের সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, “আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ, তাঁদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ। কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। আবার কেউ রাজনৈতিক খেলায় ব্যস্ত। আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন অন্তর্বর্তী উপাচার্য থাকা উচিত যিনি দুর্নীতি করবেন বা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতে পারেন।”