ভোটের আগেই তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাঁকুড়ার চারটে পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩৭ টি পঞ্চায়েত দখলে নিল। ঘটনাচক্রে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলে নিরিখে এই এলাকাগুলি গেরুয়া শিবিরে গড় বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার দিন পঞ্চায়েত ভোটের তিন স্তরের স্ক্রুটিনির পর এই চারটি তৃণমূল কর্মীর জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বিরোধীরা আবার কটাক্ষ করে বলেছেন এটা কোন জয়ের উচ্ছ্বাস নয় জল্লাদের নারকি উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে।
মনোনয়নপত্র শুরুর দিন থেকেই বিরোধীরা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমা অন্তর্গত জয়পুর কোতুলপুর ইন্দাস ও পাত্রসায়ের এই চারটি ব্লক এলাকায় শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসমূলক অভিযোগ তুলেছেন। এবারে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এই চারটি পঞ্চায়েত এলাকা সমিতিতেই বিজেপিরা দখলে এসেছিল। ও স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির গড়ে তৃণমূল নেতাদের জয়ের জন্য উচ্ছ্বাসিত তারা।
বিরোধীরা দাবী করছে তাদের প্রার্থীদের কে ধমক দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেছেন পুলিশ প্রশাসন ও তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা জোর করে তৃণমূলদের জয় এনে দিয়েছে। তৃণমূল সাধারণ মানুষকে ভোটের থেকে বঞ্চিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজ তৃণমূল যে জয়ের উল্লাস করছে এটা কোন জয়ের উল্লাস নয়। তা সত্ত্বেও বিজেপিরা ইন্দাসে কিছু মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পেরেছেন। আক্রমণের জেরে বাকি ৩টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন নি।