ফেসিয়াল সিরাম আসলে কী?
বোতলে ফেসিয়াল সিরাম –
একেবারে ফ্রেশ ক্লিন স্কিনে হাইলি কনসেনট্রেটেড পাওয়ারফুল উপাদান খুব লাইট থিন ফর্মুলার সাহায্যে ডেলিভারি করার আইডিয়াটাই সিরাম। এতে স্কিনের একটা নির্দিষ্ট সমস্যাকে টার্গেট করা সম্ভব। সিরাম এমনভাবে তৈরি করা হয় যেখানে এর অনলি টার্গেট থাকে স্টার উপাদানগুলোকে স্কিনের ডিপ লেয়ারে পৌঁছে দেয়া। আর কিছু না। ময়েশচারাইজ করা, ক্লিন করা এসব কাজ কর্ম স্কিন কেয়ারের অন্য স্টেপের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে, স্কিনের বেসিক সমস্যা, যেমন দাগ ছোপ, রিঙ্কেল, ব্রন এধরনের বড় বড় প্রবলেম গুলোকে পিন পয়েন্ট করে সল্ভ করা যায়।
ফেসিয়াল সিরাম কি ‘ক্রিম’ থেকে আলাদা?
হাতের উপর ফেসিয়াল সিরাম –
উত্তর একই সাথে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ । লাস্ট প্যারায় কি বলেছিলাম মনে আছে? সিরামে একটি নির্দিষ্ট প্রবলেম সল্ভ করার জন্য ইনগ্রেডিয়েনট থাকে, রাইট? এখন যদি কোন সিরাম স্পেসিফিকালি খুব ড্রাই ও রাফ স্কিনের জন্য ফরমুলেট করা হয়, এতে অবভিয়াসলি এমন উপাদানই থাকবে যা স্কিনে ড্রাইনেস কমাবে। একটা উদাহরণ দেখি? ‘বডিশপ ভিটামিন-ই ফেসিয়াল সিরাম ইন ওয়েল’ প্রোডাক্টের কথাই ধরি, যেহেতু এটা ড্রাই স্কিনের প্রবলেমের জন্য তৈরি এবং এটায় ময়েশচারাইজিং উপাদান অনেক বেশি। এখন আপনি যদি একটা ক্রিম নেন, সেটাও স্কিনের ড্রাইনেস কমাবে। দুটো একি সাথে কাজ করে ড্রাইনেস দূর করে স্কিনকে স্বাভাবিক করে তুলবে।
কিন্তু, ধরুন আমি একটা সিরাম নিলাম যা ব্রণের প্রবলেম সল্ভ করে, সেই প্রোডাক্টে একটুকুও ময়েশচারাইজিং উপাদান থাকবে না সেটাও হতে পারে। তাই, বেসিকালি-
সব ক্রিম ময়েশচারাইজ করে, বাট সব সিরাম ময়েশচারাইজ করে না।
ক্রিম, স্কিনের বাইরে একটা অয়েলের লেয়ার তৈরি করে স্কিনের ময়েশচার বাইরে চলে যাওয়া আটকায় । দ্যাটস ইট!
বাট, একটা ড্রাইনেস প্রিভেনটিং সিরাম স্কিনের সেল গুলোকে এমন ভাবে কনট্রোল করার ট্রাই করে যাতে স্কিন নিজেই ওয়েল-ওয়াটার ব্যালেন্স বজায় রাখতে শেখে।
সিরাম আর ক্রিমের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই। সেভাবে ভাবলে। ‘ক্রিম’ কখনোই একটা সিরামের সাবস্টিটিউট হতে পারে না।
ডেইলি কবার ফেসিয়াল সিরাম ইউজ করতে হবে আর কখন?
এটা পুরোপুরি সেই সিরামের উপরে নির্ভরশীল। জাস্ট বোতলের লেখাগুলো পড়ে দেখুন। সব সিরামেই খুব ক্লিয়ারলি লেখা থাকবে কতবার সিরাম ইউজ করতে হবে ডেইলি। বাট, এসিড/ রেটিনল যুক্ত সিরামগুলো দিনে একবার, স্পেসিফিকালি রাতের বেলা ইউজ করাই যথেষ্ট।
আর দামের জন্য যদি সিরাম দিনে দুবার ইউজ করতে না চান, সেক্ষেত্রেও রাতে একবার ইউজ করলে বেটার রেজাল্ট পাবেন। রাতে স্কিনের ন্যাচারাল রিপেয়ার সিস্টেম চালু হয়, তাই তখন সিরামের উপাদানগুলো সেই সিস্টেমকে হেল্প করে।
কিভাবে সিরাম লাগাব?
সিরাম লাগাবার বেসিক রুল হল, ফেইস ওয়াশ এবং টোনারের পড় সিরাম লাগাতে হবে। জাস্ট ২-৩ ড্রপ। ভালো প্রোডাক্ট হলে এর থেকে বেশি কোনভাবেই লাগবে না। অনেকে ক্রিমের মতো প্রায় আধা চামচ মেখে ফেলেন। দরকার নেই। বেশি মাখলে বেশি উপকার- এমন কোন থিওরি এখানে কাজ করবে না।
সিরাম স্কিন শুষে নিলে তারপরই স্কিনে ক্রিম বা ময়েশচারাইজার লাগাবেন।