ভারত

ব্যাবসায়িকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়

ব্যাবসায়িকে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়। এবার দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার পুলিশের জালে পাঁচ অপহরণকারী। এদের মধ্যে দু জন দেশের নাম করা কলেজ থেকে পাশ করা বি. টেক ও এম. টেক পাশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্টুজ, ছুরি। শিক্ষিত ছেলেদের মেধা এবার কি অন্ধকার জগতে মাথা গলাচ্ছে???? শুরু রাজনৈতিক তরজা। মূল মাথার খোঁজে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের বুদবুদ থানার পুলিশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ব্যাবসায়ীকে অপহরনের দায়ে এবার দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করলো।এদের মধ্যে দু জন দেশের নাম করা কলেজ থেকে পাশ করা বি. টেক ও এম. টেক পাশ ছাত্র, একজন পাশ করে ইস্টার্ন কোলফিল্ড বা ইসিএলে কাজও করছে। কিন্তু শিক্ষিত হয়েও অপরাধীদের খাতায় নাম তুলতে গেলো এরা???? তদন্তে নেমে দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার পুলিশ এটাই প্রথম জানতে চাইছে। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, কার্টুজ, ছুরি, মুক্তিপনের এক লক্ষ বারো হাজার টাকা ও একটি সাদা রঙের চার চাকা গাড়ি ও লাল রঙের একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের অপরাধ কি ছিল???? দুর্গাপুরের পানাগড় এর বিরুডিহার কাছে জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলের সামনে থেকে অভিজিত চক্রবর্তী, সোহম চ্যাটার্জী, সঞ্জীব বিশ্বাস, সুপ্রিয় খাওয়াস, ও বিমলেশ কুমার ঠাকুর,জয়ন্ত গড়াই নামে এক ব্যাবসায়ীকে অপহরণ করে। অভিযুক্ত তিন জন গাড়িতে থাকলেও লাল রঙের বাইকে ছিল সেইদিন। চলতি মাসের দশ তারিখ এই অপহরণ করে অভিযুক্তরা মুক্তিপনের জন্য পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দাবি করে গড়াই পরিবারের কাছে। এর আগে দড় কষাকশির সময় মারধর করা হয় জয়ন্ত গড়াই নামে ঐ ব্যাবসায়ীকে। ছয় থেকে দশ লক্ষ টাকায় মুক্তিপন ঠিক হওয়ার পর অভিযুক্তরা জয়ন্ত বাবুকে ছেড়ে দেয়। চলতি মাসের ১৩ তারিখ বুদবুদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জয়ন্ত গড়াই নামে ঐ ব্যাবসায়ী। তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল সূত্র আর সিসি টিভি ফুটেজ ধরে বুদবুদ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে পাঁচ জনকে,জেরা করে দুই অভিযুক্তর বয়ান শুনে চক্ষু চরক গাছ পলিশের। এরা একজন দেশের নাম করা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি. টেক পাশ ছাত্র আর অপর জন এম. টেক, দু জনের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইসিএলের কর্মীও। তাহলে হাই প্রোফাইল শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও কেন অপরাধীদের খাতায় নাম তুলতে গেলো দুই জন, এখন ধৃত দের হেফাজতে নিয়ে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে আসানসোল দুর্গাপুর পলিশের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্ত জানালেন। একই সাথে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এই আধিকারিক জানালেন, এর মধ্যে আর কেউ রয়েছে কিনা, বা অন্য কোনো মোটিভ আছে কিনা সেটাও তারা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে, শিক্ষিত ছেলেরা অপরাধীদের খাতায় কি করে নাম তুলে ফেলছে???? কিভাবে জড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার এই জগতের সাথে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে আর্জি জানাবে দুর্গাপুরের বুদবুদ থানার পুলিশ। এইদিকে হাইপ্রোফাইল শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়ছে অনেকে, এটাই এগিয়ে বাংলার লক্ষণ, বাংলা অপরাধীদদের আতুরঘর হয়ে উঠেছে কটাক্ষ বিজেপি জেলা নেতৃত্বের।বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বুদবুদ থানার পুলিশ। তবে কেন অন্ধকার জগতে ঢুকে পড়ছে শিক্ষিত ছেলেরা সেটাও একটা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ কর্তাদের কাছে। মেধা যদি এখন অন্ধকার জগতে ঢুকে যায় তাহলে বিপদ যে আরো ভয়ঙ্কর হবে তা বলাই বাহুল্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.