অফবিট

মেসতা কেন হয় এবং কীভাবে এই স্কিন প্রবলেম দূর করা যায়?

মেলাসমা কত প্রকার?

 

মেলাসমা স্কিনের পিগমেন্টেশনের গভীরতা ও ধরনের উপর ডিপেন্ড করে ভাগ করা হয়েছে তিনভাগে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(১)এপিডার্মাল(Epidermal)– এপিডার্মাল মেলাসমা একটু গাঁড় বাদামী বর্ণের, বর্ডার একটু ওয়েল ডিফাইন্ড হয় সাথে একটু কালচে ভাব থাকে। ট্রিটমেন্টে রেসপন্স পাওয়া যায় তাড়াতাড়ি।

 

 

 

 

(২) ডার্মাল (Dermal)– ডার্মাল মেলাসমা হালকা বাদামী বা নীলচে বর্ণের, সারতে সময় লাগে বা পুরোপুরি রিমুভ হয় না!

 

 

 

 

(৩)মিক্সড মেলাসমা(Mixed Melasma)– মিশ্র মেলাসমা, যা তিনটির মধ্যে সব থেকে সাধারণ, নীল এবং বাদামী বর্ণের প্যাচ ভিজিবল হয়, কালচে একটি মিশ্র প্যাটার্ন দেখায় স্কিনে এবং ট্রিটমেন্ট করলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

 

 

মেসতা কেন হয়?

 

১) জেনেটিক্সঃ মেলাসমাতে আক্রান্তদের কাছ থেকে জানা যায় যে পরিবারের অন্য কারোরও মেসতা রয়েছে। বংশগতভাবেও মেসতা হয়ে থাকে।

 

 

 

 

২) সান রে এবং হিটঃ সূর্যের ইউভি রে আমাদের স্কিন ড্যামেজ করে থাকে। বাহিরে বের হলে আলোতে আসলে আমাদের শরীরে মেলানিন প্রডিউস হয়। এই মেলানিন অনেকটা ছাতার মত কাজ করে থাকে, যা সান ড্যামেজ থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বডি থেকে মেলানিন সেল ঐ সময় বেশি প্রডিউস হয়ে থাকে। কিন্তু যখন মেলানিন বেশি প্রডিউস হয়ে যায় আর মুখে ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যায়, তখন এই দাগকে মেলাসমা বা মেসতা বলে। এছাড়া অতিরিক্ত হিটের মধ্যে থাকলেও কিন্তু মেসতা হয়ে থাকে। যেমন আগুনের হিট; রান্নাঘরে নারীদের বেশি কাজ করা হয় আর আস্তে আস্তে স্কিনে মেলাসমা দেখা দেয়।

 

 

 

 

৩) হরমোনালঃ হরমোনাল কারনেও মেসতা নারী পুরুষ সবারই হতে পারে। গবেষনায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় ৯০% নারীর মেসতা হয়ে থাকে। কনট্রাসেপটিক পিল বা প্রেগনেন্সির সময় বা পরে হরমোনাল পরিবর্তনের ফলে মেসতা দেখা দেয়। গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই মেলাসমার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। তাই প্রেগনেন্সির সময় মেলাসমা বা মেসতা দেখা দেয়। আবার থাইরয়েডের প্রবলেম থাকলেও মেসতা হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৪) অরিতিক্ত টেনশনঃ দেখা যায় স্কিন কেয়ারের সব কিছু মেনে চলার পরও অনেকের মেসতা হচ্ছে। বেশি স্ট্রেস নিলেও কিন্তু স্কিনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরে।

 

 

 

 

এর সমাধান কী?

 

মেসতার দাগ থেকে রক্ষা পেতে একটু সময় নিজেকে দিতেই হবে। যাদের মেসতা আছে এবং “মেসতা না হওয়া থেকে” নিজেকে রক্ষা করতে চান, তাদের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করছি। তাহলে দেখে নিন মেসতার সমস্যা সমাধান করণীয় কী! যাদের ইতিমধ্যে মেসতা আছে তাদের ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ অনুযায়ী চলার পরও কিছু বিষয় সবসময় মেনে চলতে হবে। আপনার মেসতা দেখা না দিলেও এই বেসিক স্টেপগুলো মেনে চললে মেসতা প্রিভেন্ট করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.