রেটিনল কেন ব্যবহার করবো?
রেটিনল বা রেটিনয়েড ভিটামিন এ থেকে পাওয়া যায়। ভিটামিন এ ফ্যাট সল্যুবল। রেটিনয়েডস এর দু’টি টাইপ আছে, Retinyl palmitate ও Retinoic acid। এর মধ্যে Retinyl palmitate হচ্ছে সবচেয়ে মাইল্ড বা জেন্টল ফর্ম। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এজিং সাইনস প্রিভেন্ট করতে রেটিনলের জুড়ি নেই। রেটিনল কী তা তো আমরা জানলাম কিন্তু স্কিনের কোন কোন সমস্যার সমাধানে ইউজ করবো চলুন সেটা এখন জেনে নেওয়া যাক।
১. অ্যান্টি এজিংয়ে
রেটিনল ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোডাকশন বৃদ্ধি করে স্কিন টেক্সচারকে ইম্প্রুভ করে। এটি স্কিনের বলিরেখা অর্থাৎ বয়সের ছাপ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ইয়াংগার লুকিং ও হেলদি স্কিনের সিক্রেট হলো এই রেটিনল।
২. একনের সল্যুশনে
রেটিনল স্কিনের অতিরিক্ত তেল বা সিবাম প্রোডাকশনে বাধা দেয়। তাই প্রন ও অয়েলি স্কিনের জন্য এই ইনগ্রেডিয়েন্টটি দারুণ কার্যকরী।
৩. হাইপার পিগমেন্টেশন কমাতে
হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করে স্কিনকে ইভেনটোনড করতে রেটিনল বেশ কার্যকরী। তবে রাতারাতি ফল পাবেন না। আস্তে আস্তে এটি স্কিন টেক্সচার ইম্প্রুভ করবে।
এছাড়াও রেটিনল হেলদি স্কিন সেলস প্রোডাকশনে হেল্প করে, ফাইন লাইনস দূর করে, স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে।
বিগেইনার হিসেবে কত % রেটিনল সেইফ?
স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে রেটিনলের ম্যাক্সিমাম পার্সেন্টেজ হলো ১%। শুরুতে যদি আপনি ০.০১% পার্সেন্টেজ দিয়ে রেটিনল ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাহলে সেটি একদম সেইফ। ০.০১ থেকে ০.০৩% কে বলা হয় রেটিনলের লোয়ার স্ট্রেন্থ। এরপর আপনি ধীরে ধীরে একটু হাই কনসেন্ট্রেশনে যেতে পারেন। অ্যাডভান্স লেভেলে ০.৩ থেকে ১% ব্যবহার করা যায়। সিরাম ছাড়াও আরেকটি অপশন হলো রেটিনল হাইয়ার পার্সেন্টেজ কিন্তু জেন্টল ফর্ম খুঁজে বের করা। যেমন- Encapsulated retinol, Granactive Retinoid, Bakuchiol ইত্যাদি ফর্মগুলো স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহৃত হয়। এগুলোও আপনার জন্য সেইফ অপশন। তবে যেকোনো নতুন প্রোডাক্ট স্কিনকেয়ারে অ্যাড করার আগে করে নিন।
ভিটামিন এ-এর আরেকটি ডেরিভেটিভ হচ্ছে Tretinoin (অল-ট্রান্স রেটিনোইক অ্যাসিড)। এটি ডিরেক্টলি স্কিন সেলসে কাজ করে, অ্যান্টি এজিং এর পাশাপাশি একনে ট্রিটমেন্টে ব্যবহৃত হয়। Tretinoin বেশ স্ট্রং, তাই একদম বিগেইনার লেভেলে বা স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ ছাড়া এটি ব্যবহার না করাই ভালো।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক রেটিনল ব্যবহারের জন্য উপযোগী?
ত্বকের জন্য রেটিনল কতটা উপকারী তা কিন্তু উপরের আলোচনা থেকে আপনারা বুঝতেই পেরেছেন। কিন্তু উপকারী বলে হুট করে স্কিনকেয়ারে রেটিনলের ব্যবহার শুরু করে দিলে কিন্তু তা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।