প্রথমেই বলে রাখা দরকার যেখানে বলিউডের অতি সাধারণ নায়ক নায়িকারাও হানিমুনে সুইৎজারল্যান্ড, প্যারিস বা আমেরিকায় যান, সেখানে শাহরুখ কিন্তু হানিমুনে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। সে কথায় পরে আসছি। গৌরীকে নিয়ে প্রচণ্ড পজেসিভ ছিলেন শাহরুখ। গৌরী চুল খুলে রাখলে সবাই নাকি তাকিয়ে দেখত। তাতে এসআরকে-র রাগ হত। এই নিয়ে এক বার দু’জনের ঝগড়াও হয়েছিল। যার ফলে একাই বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন গৌরী। শাহরুখকে না বলেই চলে যান মুম্বইয়ে।
শাহরুখও পকেটে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসেন গৌরীর মন ভোলাতে। সেই টাকা আবার দিয়েছিলেন গৌরীর মা। কিন্তু গৌরীকে কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না শাহরুখ ও তাঁর বন্ধুরা। আচমকাই সমুদ্রতটে দু’জনের দেখা হয়। দু’জনেই কেঁদে ফেলেন। বুঝতে পারেন ভালবাসার গভীরতা। এর পরেই ঠিক করেন পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে গৌরী ছিব্বড়কে বিয়ে করবেন শাহরুখ খান। শাহরুখ নাকি গৌরীর পরিবারকে ‘ইমপ্রেস’ করতে প্রথমে সঠিক নামটাও বলেননি। সম্পর্কের প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত শাহরুখের আসল নাম জানতেন না গৌরীর বাড়ির লোক, সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল এমনটাই। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। বিয়ের জন্য নিজের স্যুট কেনার পয়সা ছিল না শাহরুখের। ‘রাজু বন গ্যয়া জেন্টলম্যান’ ছবির কস্টিউম ডিজাইনার থেকে স্যুট ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি।
বিয়ের ২০-৩০ দিনের মধ্যে হানিমুনে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান ও গৌরী। কোথায় গিয়েছিলেন তাঁরা জানেন? এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। হ্যাঁ,ঠিকই পড়ছেন, শাহরুখ-গৌরী তাঁদের হানিমুনে এসেছিলেন বাংলায়। সেই সময় শাহরুখের কাছে এত টাকা ছিল না। গৌরীও মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। একটি শো-তে শাহরুখ নিজেই তাঁদের হানিমুনের গল্প শেয়ার করেছিলেন। তিনি জানান, বিয়ের পর গৌরীকে তিনি প্যারিস নিয়ে যাবেন কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় টাকা না থাকায় তা হয়নি। বদলে ‘রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান’-এর শ্যুটিং করতে দার্জিলিং যাওয়ার কথা ঠিক হয় শাহরুখের। কিং খান মনে মনে ঠিক করে ফেলেন, গৌরীকে প্যারিসের নামে দার্জিলিংয়েই নিয়ে যাবেন তিনি। কারণ, গৌরী অত কিছু জানতেনও না জায়গা সম্পর্কে। জুটিতে চলে আসলেন দার্জিলিং।