নীতি আয়োগের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা মোদী সরকারের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই ১৪তম অর্থ কমিশনকে জোর করে চাপ দিইয়ে, রাজ্যের প্রাপ্য ট্যাক্সের অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন।
অর্থ কমিশন ৪২% ট্যাক্স রাজ্যের হাতে দেওয়ার কথা বললেও, নতুন প্রধানমন্ত্রী অনেক কম টাকা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যখন তিনি এই চেষ্টায় ব্যর্থ হন, তখন তার সরকারকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের প্রথম পূর্ণ বাজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে মন্ত্রী মণ্ডল সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ কমাতে বাধ্য হয়।
এই কর্তা আরও বলেন, মোদী সরকারের বাজেট দাবিগুলি “সত্য ঢাকার জন্য কয়েক স্তরের মিথ্যার আবরণে ঢাকা।” তিনি আরও বলেন, “যদি সরকার স্বচ্ছ থাকে, তবে তাদের উচিত হিন্ডেনবার্গকে দিয়ে এর তদন্ত করানো।”
ওই আধিকারিকের মতে প্রধানমন্ত্রীর আসল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীকরণ, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং ভারতের ফেডারেলিজম ধ্বংস। রাজ্য সরকারগুলি আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে স্কুল শিক্ষা পর্যন্ত সবকিছুকেই জিএসটির আওতায় এনে তিনি রাজ্যগুলির অর্থ রোজগারের জায়গা সংকীর্ণ করে দিয়েছেন।