পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ছোট্ট গ্রাম কেতুগ্রামে জন্ম জয়ন্ত মানকালের। বাবা পেনশনভোগী, মা গৃহিণী। দশ বছর বয়সে জয়ন্তের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তার দৃষ্টিশক্তি ৭৫ শতাংশ হারিয়ে যায়।
দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকায় জয়ন্তের পড়ালেখায় সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সে হাল ছাড়েনি। বাবার পেনশনের টাকায় কোনও রকমে পড়া চালিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।জয়ন্তের স্বপ্ন ছিল আইএএস হওয়ার। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি কম থাকায় তার পক্ষে প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন ছিল। তিনি টিভি, রেডিওয় সংসদের ডিবেট শুনে প্রস্তুতি নিতেন।
জয়ন্তের মা, দিদিও তার স্বপ্ন পূরণে পাশে দাঁড়ান। তারা আচার বেচে জয়ন্তের লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন।২০১৪ সালে জয়ন্ত সিভিল সার্ভিসে ৯২৩ র্যাঙ্ক করে। বর্তমানে তিনি ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে কর্মরত।
জয়ন্ত মানকালের গল্প অনুপ্রেরণা দেয় যে, প্রতিবন্ধকতা কখনই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হতে পারে না। পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করা সম্ভব।