আদিত্য পণ্ডিত ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা একজন শিক্ষক এবং মা একজন গৃহিণী। আদিত্য পণ্ডিত ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। তিনি স্কুলে এবং কলেজেই ভালো রেজাল্ট করেছিলেন। তিনি IIT দিল্লি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আইআইটি দিল্লি থেকে স্নাতক হওয়ার পর, আদিত্য পণ্ডিত একটি আইটি কোম্পানিতে চাকরি নেন। তিনি কয়েক বছর সেখানে কাজ করেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি চাকরি করতে চান না। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি আইএএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেন।
আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব কঠিন। আদিত্য পণ্ডিতও এই পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। তিনি মানসিকভাবে অনেক চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন।
আদিত্য পণ্ডিত বলেন, “আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব কঠিন। আমি অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। আমি মনে করতাম যে আমি এই পরীক্ষায় সফল হতে পারব না। একদিন আমি এতটাই চাপে ছিলাম যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন আমার মা আমাকে বাঁচালেন। তিনি আমাকে সাহস দিয়ে বললেন যে আমি যেকোনো কিছু করতে পারি। আমি তার কথা শুনে আবার চেষ্টা চালিয়ে যাই।”
কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আদিত্য পণ্ডিত ২০২৩ সালের আইএএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি ৯৪তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে ভারত সরকারের একজন আইএএস অফিসার। তিনি একটি জেলার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আদিত্য পণ্ডিত বলেন, “আমি আমার সাফল্যের জন্য আমার মা, আমার শিক্ষক এবং আমার বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে সবসময় সাহস দিয়েছেন। আমি তাদের কথা না শুনলে আজ আমি এখানে থাকতে পারতাম না।”
আদিত্য পণ্ডিত একজন অনুপ্রেরণা। তার সাফল্য প্রমাণ করে যে, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারি।