অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সুজাপুরের হাতিমারি ময়দানে প্রচারসভা করেন। সেই সভায় বক্তৃতার শেষের দিকে তিনি বলেন, ভালো কাজ না করলে তিন মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধানকে বদল করা হবে। ওই সভায় অভিষেক বলেন, এবার থেকে ২ মাস অন্তর আমি মালদহে আসব। তিনি আরও বলেন, “তিন মাস অন্তর পঞ্চায়েত প্রধানের কাজের পর্যালোচনা আমি নিজে করব। প্রধান ভাল কাজ করলে মেয়াদ বাড়ানো হবে। আর ভালো কাজ না করলে তাঁকে সরানো হবে। যদি পদে থেকে কোন দুর্নীতি করেন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব”। তবে জানিয়ে রাখি, এই ঘোষণাটি শুধুমাত্র মালদহের জন্য। প্রসঙ্গত, এর আগে কোচবিহার ও মালবাজারের সভায় পঞ্চায়েত স্তরে নিজেই নজরদারির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পঞ্চায়েত প্রধানের উপর নজরদারি করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, আর আগামি ৮ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। ১১ ই জুলাই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। মালদহের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিষেক জানিয়ে দিয়েছেন ১১ই জুলাই ফলাফল ঘোষণার পর দলের বিজয় উৎসব ২১শে জুলাই কলকাতায় এসে শহীদ স্মরণের সমাবেশে করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস মালদহের দুটি লোকসভা আসনে কোনদিনই জিততে পারেননি। সেই উদ্দেশ্যে বিরোধীদের দিকে তীর করে তিনি বলেন, “২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে উত্তর মালদহে বিজেপি জিতেছিল। দক্ষিণ মালদহে জিতেছিল কংগ্রেস। এরা গত চার বছরে একটাও বৈঠক করেননি। যে দুজন কংগ্রেস সাংসদ রয়েছেন, তারা কখনও বাংলার অর্থ বরাদ্দ নিয়ে সরল হননি। অধীর চৌধুরী আবু হাসেম খান চৌধুরীর কিছুই বলেননি”।
তিনি আরও বলেন, “একদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিহারে বিজেপিকে হারাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে চলার কথা বলছেন। আর রবিনহুড অধীর চৌধুরী বাংলার শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের কথায় কথা বলছেন। অধীরের নিরাপত্তার দায়িত্ব অমিত শাহের বাহিনী, দিদির পুলিশের উপর আস্থা নেই, দাদার পুলিশে আস্থা আছে। দাদার নাম নরেন্দ্র মোদী”। প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রিমোটের বোতাম টিপে বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ করেছেন। আর বাংলার মানুষ ইভিএমের বোতাম টিপে প্রধানমন্ত্রী বদল করে দেবেন”।