ভারত

প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে ধনঞ্জয় , হেঁতাল পারেখ ও নাটা মল্লিকের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ অনুষ্ঠান ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের

প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে ধনঞ্জয় , হেঁতাল পারেখ ও নাটা মল্লিকের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ অনুষ্ঠান ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের

 

ভ্যালেন্টাইন্স বা ভালোবাসার দিবসে সারা পৃথিবী যখন তাদের প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, সেই দিনটিকেই বেছে নিয়ে কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে ধনঞ্জয়, হেঁতাল পারেখ ও নাটা মল্লিকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলার ত্রিবেণী সঙ্গমে তর্পণ করলো ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চের সদস্যরা । এমন একটি দিনকে বাছাই করার কারণ হিসেবে মঞ্চের বক্তব্য মূলত রাজনৈতিক চক্রান্ত, বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি এবং গরীব মানুষের প্রতি ঘৃণার কারণেই সেই সময় সিস্টেমের দ্বারা খুন হতে হয়েছে বাঁকুড়ার কুলোডিহির বাসিন্দা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে । ডাক্তার তিলোত্তমার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সারা দেশ যখন উত্তাল ঠিক সেই সময় বিচার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের দাবীতে আওয়াজ তুলেছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ । মঞ্চের দাবী মূলত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই বিচার ব্যবস্থার ত্রুটির সুযোগ নিয়ে হেঁতাল পারেখ খুনের মামলায় আসল অপরাধীকে আড়াল করতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে দরিদ্র পুরোহিত ঘরের সন্তান নিরপরাধ ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে । ফলে আসল অপরাধী শাস্তি না পাওয়ার ফলে হেঁতাল পারেখের আত্মা আজও শান্তি পায়নি । শুধু তাই নয়, ধনঞ্জয় আসল অপরাধী না হলে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়ে সিস্টেম নাটা মল্লিককেও অপরাধের ভাগী হতে বাধ্য করেছে । এই কারণেই পুনর্বিচার মঞ্চের কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য আমরা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, হেঁতাল পারেখ এবং নাটা মল্লিকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করার পাশাপাশি ধনঞ্জয়ের ফাঁসি মামলায় কোর্ট কেসের প্রায় সমস্ত কাগজ আমরা সংগ্রহ করেছি যা নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করবে ধনঞ্জয় আসলে নিরপরাধ ছিলেন । ইতিমধ্যেই আমরা এই মামলার পুনর্বিচার চেয়ে ভারতের মাননীয়া রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ডেপুটেশন কপি পাঠানোর পাশাপাশি হাতে করে বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মাননীয় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং কারামন্ত্রী শ্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে ডেপুটেশন দিয়েছি । আমাদের কাজে উৎসাহী হয়ে প্রয়াত ফাঁসুরে নাটা মল্লিকের ছেলে পর্যন্ত আমাদের মঞ্চে যোগদান করেছেন সত্য অনুসন্ধানের আশায় । আমরা প্রয়াগরাজ থেকে কুম্ভের পবিত্র জল নিয়ে ধনঞ্জয়ের পারিবারিক কালীমন্দির এবং বাঁকুড়ায় মা বাঁশুলির মন্দিরে যাবো এবং তারপর কালী ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে পুনর্বিচার চেয়ে পথে নেমে জনসংযোগ যাত্রা এবং গণআন্দোলন শুরু করতে চলেছি । একটি ত্রুটিহীন বিচার ব্যবস্থা এবং অপরাধমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গঠনের জন্য বাংলার প্রতিটি আদালতে আইনজীবী বন্ধুদের কাছে গিয়ে তাদেরকে নিজেদের আন্দোলনের সাথে যুক্ত করতে বৃহত্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.