অফবিট

ডেড স্কিন সেল রিমুভাল | কেন এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন?

ডেড স্কিন সেল রিমুভাল : কিভাবে করবেন ডেড স্কিন সেল রিমুভ?

 

ডেড স্কিন সেল রিমুভ করার একটি ভাল উপায় হচ্ছে স্ক্রাবিং (scrubbing)। বাজারে আজকাল বিভিন্ন ধরনের স্ক্রাব (scrub) বা এক্সফলিয়েটিং জেল (exfoliating gel) পাওয়া যায়। তবে আপনার স্কিন-এর ধরনের ওপর মূলত নির্ভর করবে আপনি কী ধরনের স্ক্রাবিং এজেন্ট ব্যবহার করবেন বা কতদিন অন্তর আপনি স্ক্রাবিং করবেন। যাদের স্কিন খুব ড্রাই বা সেনসিটিভ তাদের অবশ্যই ফ্রুট এসিড যেমন আলফা হাইড্রক্সি এসিড সমৃদ্ধ স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত। অয়েলি বা একনে প্রবণ স্কিন-এর জন্য বিটা হাইড্রক্সি এসিড হতে পারে আদর্শ স্ক্রাবিং এজেন্ট।

 

 

 

 

তবে আপনার স্কিন-এর জন্য সঠিক স্ক্রাবিং এজেন্ট খুঁজে পাওয়া যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই জরুরি এর সঠিক ব্যবহারবিধি। তাই জানিয়ে দিচ্ছি এটি ব্যবহারের সঠিক স্টেপ-গুলো।

 

 

 

 

স্টেপ ১: স্ক্রাবিং শুরুর পূর্বে একটি ফোমিং ফেইস ওয়াশ দিয়ে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। মনে রাখবেন আপনার উদ্দেশ্য শুধু সুপারফিশিয়াল লেয়ার (superficial leyar) বা স্ট্র‍্যাটাম করণিয়াম (stratum corneum) এক্সফলিয়েট করা, স্কিন-কে খুব বেশি ড্রাই বা ইরিটেট করা নয়। তাই এই স্টেপ-টি স্ক্রাবিং-এর পূর্বে আপনার স্কিন-এর ওপরের ডার্ট পারটিক্যাল-গুলো খুব আলতোভাবে পরিষ্কার করবে এবং স্ক্রাবিং এজেন্ট-এর কাজটিকে সহজ করবে।

 

 

 

 

স্টেপ ২: কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে আপনি এই স্টেপ-টি চাইলে স্কিপ (skip) করতে পারেন। তবে আপনার রোমকূপ বা পোর-গুলো ভালমত ওপেন করার জন্য আমার সাজেশন হবে ২ মিনিট একটু গরম পানির ভাপ নিয়ে নেয়া বা একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে সেটি খানিকক্ষণ মুখে জড়িয়ে নেয়া। বিশেষত যাদের ক্লোজড কমিডোনাল একনে বা হোয়াইটহেড আছে বা স্কিন পোর ব্লক থাকার দরুন যাদের স্কিন একেবারেই ডাল লুকিং তাদের এই স্টেপ-টি অবশ্যই ফলো করা উচিত।

 

 

 

 

স্টেপ ৩: এবার স্ক্রাবার হাতে নিয়ে মুখের প্রতিটি অংশে আলতোভাবে বা খুব হালকা প্রেশার-এ এবং সার্কুলার মোশন-এ এপ্লাই করতে হবে। মনে রাখবেন চোখের চারপাশের অংশ বাদে বাকি অংশে স্ক্রাবিং সার্কুলার মোশন-এ হতে হবে ভেতর থেকে বাইরের এবং হালকা ওপরের দিকে (Inward to outward & slightly upward)। চোখের চারপাশের অংশে স্ক্রাবিং-এর সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন কেননা,এ অংশের চামড়া অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক পাতলা এবং আপনার সামান্য ভুলেই এ অংশে ভাজ বা রিংকেল পড়তে পারে। এ অংশের স্ক্রাবিং হতে হবে খুব আলতো হাতে এবং চোখের নিচের পাতলা অংশে সার্কুলার মোশন হবে বাইরে থেকে ভেতরের দিকে (Outward to inward)। তবে কোন স্ট্রং কেমিক্যাল সমৃদ্ধ স্ক্রাব চোখের আশপাশের অংশে ব্যবহার করতে যাবেন না। আপনার স্ক্রাবার-টি চোখের ডেলিকেট অংশে ব্যবহারের উপযোগী কিনা তা লেবেল-এ দেখে নিন।

 

 

 

 

স্টেপ ৪: স্ক্রাবিং শেষ হবার পর মুখ প্রথমে সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ধুয়ে নিন। খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার করতে যাবেন না, এতে স্কিন অনেক ড্রাই ও ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।

 

 

 

 

স্টেপ ৫: ১০ সেকেন্ড-এর জন্য ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন বা আইস কিউব এপ্লাই করুন এবং আপনার স্কিন-এর ওপেন পোর-গুলো বন্ধ করে নিন। এই স্টেপ-টি কোন মতেই স্কিপ করতে যাবেন না।

 

 

 

 

স্টেপ ৬: টাওয়েল-এর সাহায্যে মুখ মুছে নিন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

 

 

 

 

কতক্ষণ এবং কতদিন স্ক্রাবিং করবেন?

 

 

 

 

এটি মূলত আপনার স্কিন টাইপ-এর ওপর নির্ভর করবে। ড্রাই এবং সেনসিটিভ স্কিন-এর জন্য ৩০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের স্ক্রাবিং-ই যথেষ্ট এবং তা কখনোই সপ্তাহে একদিনের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে যাদের স্কিন অয়েলি তারা সপ্তাহে ২ দিন এক থেকে ২ মিনিট স্ক্রাবিং করলে ভালো।

 

 

 

 

কারা স্ক্রাবিং করবেন না

 

 

 

 

স্কিন-এ কোন কাঁটাছেঁড়া থাকলে।

 

একটিভ বা ইনফেক্টেড একনে থাকলে।

 

হারপিস বা অন্য কোন ইনফেকশন থাকলে।

 

কোন স্ক্রাব বা এক্সফলিয়েটর আপনার জন্য সেরা?

 

এ প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই এসেছে। স্ক্রাবার কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- মেকানিক্যাল এক্সফলিয়েটর হিসেবে বিভিন্ন ব্রাশ, স্পঞ্জ আবার প্রফেশনাল ব্যবহারের জন্য মাইক্রোডারমাব্রেশন মেশিন (ডায়মন্ড পিল, ভ্যাকুয়াম পিল, ক্রিস্টাল মাইক্রোডারমাব্রেশন) ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে কেমিক্যাল এক্সফলিয়েটর হিসেবে আমরা বিভিন্ন ফ্রুট এবং প্ল্যান্ট এক্সট্র‍্যাক্ট বা হাইড্রক্সি এসিড সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.