একসময় কম চড়াই-উতরাই পার করতে হয়নি তাঁকে! রীতিমতো মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলেন দীপিকা পাডুকোন। সে প্রেমজীবন হোক, বা পেশাগত জীবন। এবার সেই কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন খুদেদের সামনে। তিনি যে মানসিক অবসাদে ভুগছেন, সেটি কীভাবে বুঝেছিলেন দীপিকা? বহু দিন ধরেই কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি, কিন্তু একদিন আচমকাই অজ্ঞান হয়ে যান তখনই তিনি জানতে পারেন, মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে তাঁকে। সম্প্রতি, এক অনুষ্ঠানে নিজেই জানান সে কথা।
এদিন নিজের জীবনের কঠিন সময়ের কথা তুলে ছাত্রছাত্রীদের মন খুলে কথা বলার পরামর্শও দিলেন দীপিকা। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। যেখানে পড়ুয়াদের পড়াশোনা চাপ, পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা, এবং সেই চাপ মোকাবিলা করার উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের নাম, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। সেখানেই একটি এপিসোডে এ বার হাজির হলেন রনবীর-ঘরনি।
মানুষের জীবনের সঙ্গে ‘প্রতিযোগিতা’ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একদম ছোট থেকেই বলা হয়, পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর যেন নামটা প্রথম দশে থাকে। সেই পথেই হাঁটার চেষ্টা করে ছাত্রছাত্রীরা। সবাই খোঁজে প্রথম হওয়ার উপায়। সে যে কোনও ভাবেই হোক। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই সবাই সব বিষয়ে পারদর্শী হতে পারে না। তেমনই দীপিকাও একেবারেই কাঁচা ছিলেন অঙ্কে। পরীক্ষার মরশুমে ছাত্রছাত্রীদের মনে সাহস জোগাতে দীপিকা বললেন তাঁর ছোটবেলার কিছু স্মৃতি।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে দীপিকার পরামর্শ, অযথা নিজের মনের ভিতর যেন কোনও কথা কেউ চেপে না রাখে। প্রয়োজনে সমস্যার কথা পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রীর মতে, “পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে তোমরা তোমাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করো।” অভিনেত্রী বলেন, “আমি নিজে অঙ্কে ভীষণই দুর্বল ছিলাম। এখনও অবশ্য তাই-ই আছি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বইতে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করেছিলেন। তাই সবসময় মন খুলে কথা বলুন।” তিনি জানান, একবার তিনি কাজ করতে করতে আচমকাই অজ্ঞান হয়ে যান। এরপরেই তিনি বুঝতে পারেন তিনি অবসাদে ভুগছেন।
জীবনের এই কঠিন সময়ের কথা ভাগ করে নিতেও পিছপা হননি তিনি। এছাড়াও এদিন ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে বেশ কিছু অ্যাকটিভিটিও করিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর এমন ভাবনা এবং প্রচেষ্টার জন্য তাঁকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী।