দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, টলিপাড়ায় চর্চারও অন্ত নেই তাঁদের ঘিরে। এক সময় স্টুডিয়োপাড়ার অন্যতম চর্চিত ‘কপল’ ছিলেন সৌপ্তিক চক্রবর্তী এবং রণিতা দাস। তবে সময়ের সঙ্গে ঘুরেছে সম্পর্কের চাকাও। প্রেম। বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এখন শুধুই নাকি বন্ধু তাঁরা। সম্প্রতি আবারও তাঁরা ধরা দিলেন একফ্রেমে। শুধু তাই নয়, দুর্গা মন্দিরে গিয়ে দেবী দুর্গাকে সাক্ষী রেখেই হল তাঁদের ‘খেলা শুরু’! বিচ্ছেদ ভুলে আবারও কি কাছাকাছি এলেন তাঁরা?
আসলে বিষয়টি কিছুটা অন্যরকম। নতুন ছবি ‘দেবী’র হাত ধরে নতুন করে জুটি বাঁধছেন তাঁরা। ‘মণিহারা’ ছবির এই সিক্যুয়েলে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন রণিতা। অন্যদিকে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সৌপ্তিক। ব্যক্তিগত জীবনে যাই হোক না কেন, পেশাদারিত্ব নিয়ে বরাবরই সচেতন তাঁরা। কখনও কি কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে ব্যক্তিগত জীবন?
রণিতা এবং সৌপ্তিকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আডিশনের তরফে। সৌপ্তিক চক্রবর্তীর অকপট স্বীকারোক্তি, “আমরা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করেছি। ‘সোহাগী সিঁদুর’, ‘ধন্যি মেয়ে’। তখনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজের ক্ষেত্রে আনিনি। পেশার দিক থেকে আমরা অনেক বেশি সচেতন। আর এইভাবেই কাজটা হয়। আমরা কাজটা করতে পারছি কারণ, পেশার দিক থেকে সেই সম্পর্কটা আমাদের খুব গভীর। মানুষ অনেক কিছুই মিলিয়ে দেন একসঙ্গে।”
অন্যদিকে রণিতা বলে, “একটা সম্পর্কে অনেকদিনের চেনাজানা থাকলে আর একে অপরের প্রতি বন্ধুত্ব এবং সম্মানটা থাকলে আমরা নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারি। আর এই সম্মানটা প্রতিটা সম্পর্কে থাকা প্রয়োজন। আর এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমি শুধুমাত্র কৃষ্ণপ্রেমেই আছি। শেষ এক মাসে জীবন অনেকটা বদলেছে। আগামী দিনেও যা হবে আশা করি ভালই হবে।” সেই সঙ্গে অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, “আমাদের কাছে আমাদের কাজটা বেশি চ্যালেঞ্জের। কারণ, সব মিলিয়ে আমাদের এটা একসঙ্গে ছয় নম্বর প্রযোজনা। আর দ্বিতীয় বিষয় হল এই ছবিটা বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে। এই চাপটা অনেকটাই। আর সেটা আমি প্রতি মুহূর্তেই নিজেকে মনে করিয়ে দিচ্ছি একবার করে।”
ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমরাজ মাইতি।