এই মুহূর্তে বাণিজ্য জগতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বাংলা সিনেমার। সেই কথা মনে রেখেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। বক্স অফিসে এখনও পয়লা নম্বর দখল করে রয়েছে খাদান। সেখানে ‘পুষ্পা’কেও শাসন করতে দেননি দীপক অধিকারী। বরং তাঁকে ‘ঝুঁকিয়ে’ ছেড়েছেন। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘বিনোদিনীও’। বৃহস্পতিবার বারবেলায় টলিউডের সেই সফল জুটিকে দেখা গেল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2025) মঞ্চে। বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাস সুদীর্ঘ। অথচ দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, বাংলা চলচ্চিত্রে দক্ষিণের মতো লগ্নি হয় না। পুঁজি কম। খাদানের মতো বিগ বাজেটের ছবি বলতে বাংলায় যা বোঝায়, দক্ষিণে সেই বাজেটে হয়তো সিরিয়াল হয়, বা পরিচালকরা হাত পাকান। এর মধ্য দিয়েও হতে পারে প্রচুর কর্ম সংস্থান। কাজ পেতে পারে নতুন প্রজন্মের অনেকেই।
বাংলায় চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা, অভিনয় দক্ষতা, পরিচালন ক্ষমতা, গান, সুর— কোনও কিছুরই কমতি নেই। সম্ভবত সেই কারণেই বাংলা ছবিতে বড় লগ্নি টানার বার্তা দিয়ে এদিন টলিউডের সবচেয়ে বড় মুখ—দীর্ঘকায়, সদাহাস্য, ম্যাচোম্যানকে মঞ্চে ডেকে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রুক্মিনী মৈত্রও। বাণিজ্য সম্মেলনে এদিন এক পার্শ্ব বৈঠকে বক্তাও ছিলেন রুক্মিনী। পরে বক্তৃতায় পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ প্রাকৃতিক ভাবে ঐশ্বর্যশালী। হিমালয় থেকে সুন্দরবন কী নেই এখানে। তাই চলচ্চিত্রে লগ্নীর বড় সুযোগও রয়েছে। ফিল্ম মেকাররা এখানে ছবি বানাতে আসতে পারেন। তা ছাড়া কো-প্রোডাকশনেরও সুযোগ রয়েছে। পার্শ্ব বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলেওছেন রুক্মিনী।