সঠিকভাবে মেকআপ রিমুভ না করলে যে ৯টি স্কিন প্রবলেম হতে পারে
১. পিম্পল এবং ব্রেকআউট
সারাদিন মুখে মেকআপ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ালেন, রাতে মেকআপ রিমুভ না করেই ঘুমিয়ে গেলেন। আর সকালে উঠে দেখছেন মুখভর্তি পিম্পল। কী? মিলে যাচ্ছে? যাওয়ারই কথা। সঠিকভাবে মেকআপ না তুললে এবং ব্রেকআউট হওয়াটাই স্বাভাবিক। সারাদিনের ধুলো, ময়লা, ঘাম, মেকআপ-ই এর জন্য দায়ী।
২. পোর ক্লগিং
সাইন্টিফিক-ভাবে এটা প্রমানিত যে, মেকআপ না রিমুভ করে ঘুমাতে গেলে তা পোর বন্ধ করে দেয়। যার ফলে দেখা দেয় স্কিন প্রবলেমস। তাই মেকআপ তুলে ঘুমাতে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
৩. স্কিন ড্রাইং
মেকআপ করার ফলে এমনিতেই আমাদের স্কিন ড্রাই হয়ে যায়। কারণ, সারাদিন ধরে স্কিনে মেকআপ থাকার ফলে এটা স্কিন সেলস থেকে সমস্ত ময়েশ্চার এবং হাইড্রেশন শুষে নেয়। তবে মেকআপ যদি সারারাত ধরে রাখা হয় এবং এই প্রসেস প্রায়শই করা হলে ধীরে ধীরে স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে থাকে।
৪. প্রিম্যাচিওর এজিং এবং রিংকেলস
কম বয়সে স্কিন বুড়িয়ে যাওয়া এবং রিংকেল পড়ে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে মেকআপ ঠিকমতো না তোলা। স্কিনে পড়ার মত সময় আসে নি, তাও স্কিনে যদি রিংকেল দেখা যায় তখন কেমন লাগবে? আয়নার সামনে কম বয়সেই নিজের বুড়িয়ে যাওয়া স্কিনটা দেখতে ভালো লাগবে? তখন অ্যান্টি-এজিং ক্রিমের পেছনে গাদা গাদা টাকাও ঢালতে হবে। তার থেকে এটা ভালো যে কিছু মিনিট ব্যয় করে মেকআপ-টা সঠিকভাবে রিমুভ করা।
৫. স্কিনে প্রদাহ
আমরা সবাই-ই জানি, মেকআপ প্রোডাক্টগুলো বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হয়। এই কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্টগুলো লং টাইমের জন্য স্কিনে রাখলে স্কিন ইরিটেশন, ব্লাকহেডস, হোয়াইটহেডস ইত্যাদি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। আমার নিজের কথাই বলি, আমি ৬-৭ বছর ধরে মেকআপ ইউজ করলেও আমার আজ পর্যন্ত একদিনও সাহস হয় নি এইসব কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্টস নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার।
৬. আইব্রো এবং আইল্যাশ পড়ে যাওয়া
মাশকারা, আইল্যাশ গ্লু, আইব্রো পমেড, আইব্রো পেনসিল ইত্যাদি চোখটাকে সুন্দর করে তুললেও এগুলো লং টাইম রাখার ফলে আইল্যাশ এবং আইব্রো হেয়ার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।