অফবিট

ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাজিয়ে নিন আপনার নাইট টাইম স্কিন কেয়ার রুটিন

ত্বকের ধরন অনুযায়ী নাইট টাইম স্কিন কেয়ার

ড্রাই স্কিন

ড্রাই স্কিনে খুব তাড়াতাড়ি এজিং সাইনস অর্থাৎ রিংকেলস দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে স্কিনের ইলাস্টিসিটি লুজ হয়ে যায়। যার কারণে চামড়া ঝুলে যায়। তাই ড্রাই স্কিনের জন্য দরকার প্রয়োজন অনুযায়ী যত্নের।

 

ডাবল ক্লেনজিং

 

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই স্কিন প্রোপারলি ক্লিন করে ময়েশ্চারাইজড করে নিতে হবে। আর ড্রাই স্কিনকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখা উচিত। তাই ডাবল ক্লেনজিং করলেও খেয়াল রাখতে হবে ক্লেনজিং প্রোডাক্টগুলো যেন স্কিনের জন্য স্যুইটেবল হয়। দিনের বেলা সানস্ক্রিন বা মেকআপ ব্যবহার করলে অবশ্যই রাতে ডাবল ক্লেনজিং মেথড ফলো করতে হবে। প্রথম ধাপে ক্লেনজার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে অয়েল বেজড ক্লেনজার। কটন প্যাডে ক্লেনজার নিয়ে প্রথমে স্কিন ক্লিন করে নিন। এবার ফোম বা ওয়াটার বেজড ক্লেনজার দিয়ে ফেইস আরও একবার ক্লিন করে নিতে হবে।

 

সোডিয়াম সালফেট, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (যেমন- ট্রাইক্লোজান), প্যারাবেন, অ্যালকোহল জাতীয় উপাদানগুলো ত্বক শুষ্ক করে দেয়। তাই যে ক্লেনজারে এসব উপাদান আছে সেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, সিরামাইড, অ্যালোভেরা, হানি, রাইস এক্সট্র্যাক্টের মতো উপাদানগুলো আছে কিনা দেখে ক্লেনজার সিলেক্ট করলে ভালো হয়। কারণ এই উপাদানগুলো স্কিন হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

 

ত্বক পরিষ্কার তো করা হলো! এরপরে আসে টোনিং এর পালা। টোনিং এর ক্ষেত্রে ভালো হাইড্রেটিং টোনার ইউজ করতে হবে, যাতে স্কিন ভালোভাবে রিহাইড্রেট হতে পারে, একই সাথে ফেইসের পোরস টাইটেনিং করবে এবং পরের ধাপের জন্য স্কিনকে প্রিপেয়ার করবে। ড্রাই স্কিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ময়েশ্চারাইজিং। ত্বক পর্যাপ্ত ময়েশ্চারের অভাবে শুষ্ক হয়ে যায়। তাই স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখতে ভালো মানের একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

 

কম্বিনেশন স্কিন

কম্বিনেশন স্কিন নিয়ে আমাদের প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে হয়। কারণ এ ধরনের স্কিনের কিছু অংশ ড্রাই আবার কিছু অংশ অয়েলি হয়ে থাকে। স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টস কেনার আগে তাই খুব কেয়ারফুলি প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে।

 

সানস্ক্রিন কিংবা মেকআপ ব্যবহার করলে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। প্রথমে যথারীতি অয়েল বেজড ক্লেনজার ও পরে মাইল্ড একটি ওয়াটার বেজড ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে। জেল ওয়াশ বা ফোমিং ক্লেনজারগুলো এক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়।

 

টোনার

 

টোনিং এর ক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিক হোমমেইড টোনারও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- গোলাপ জল, জিঞ্জার মিন্ট টোনার। এতে স্কিন থাকবে হাইড্রেটেড এবং সতেজ ফিল হবে। কম্বিনেশন স্কিনের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অ্যালোভেরা জেল খুব কার্যকর। আপনি চাইলে বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা থেকে জেল সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.