অফবিট

CTM রুটিন জুড়েই থাকুক ভিটামিন-সি!

অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ত্বকের যত্নে ভিটামিন-সি থাকা কেন জরুরী? বা ভিটামিন সি এর কাজ কী? অথবা CTM রুটিনে ভিটামিন-সি কীভাবে যোগ করবো? আসুন তাহলে আজকে জেনে নেই, ত্বকের যত্নে ভিটামিন- সি এর উপকারিতা আর ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং এ কীভাবে যোগ করতে পারেন ভিটামিন-সি।

 

কেন CTM রুটিনে ভিটামিন-সি যোগ করবেন?

ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশনকে বাড়িয়ে দেয়, এর কারণে ত্বকের ফাইনলাইনস বা রিংকেলস পড়ার প্রবণতা কমে যায়।

ত্বকে মেলানিনের প্রোডাকশন কনট্রোল করে, যা আমাদের হাইপার পিগমেন্টেশন, স্কিনের বিভিন্ন দাগ কিংবা আনইভেন স্কিনটোনকে দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে আমাদের ত্বকে যে ক্ষতি হয়, তা রিপেয়ার করতে সাহায্য করে।

ত্বকের নির্জীবতা দূর করে ত্বককে করে প্রাণবন্ত ও গ্লোয়িং।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমাদের রেগুলার CTM রুটিনে কেন ভিটামিন-সি থাকা জরুরী। তাই যারা আলাদাভাবে ভিটামিন-সি সিরাম স্কিনকেয়ার রুটিনে যোগ করছেন না, তাদের জন্য বেস্ট হচ্ছে, রেগুলার CTM রুটিনেই যদি ভিটামিন-সি যোগ করা যায়। এখন হয়তো অনেকেই ভাবছেন, ক্লেনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং এ ৩টি স্টেপেই কীভাবে ভিটামিন-সি যোগ করা যায়? চলুন তাহলে জেনে নেই, কীভাবে আপনার রেগুলার CTM রুটিনে যোগ করতে পারেন ভিটামিন-সি।

 

 

 

ক্লেনজিং

ত্বকের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ হচ্ছে ক্লেনজিং। সারাদিন রোদ, ধুলাবালি, মেকআপ, সানস্ক্রিন সহ সব কিছু আমাদের ত্বকে জমে। এর ফলে ত্বকের পোরস হয়ে যায় ক্লগড। আর আপনি যদি স্কিন ভালোভাবে ক্লিন না করেন, তাহলে একনে, পিম্পল সহ নানা ধরনের স্কিন প্রবলেম দেখা দিতে পারে। আর তাই ত্বক পরিষ্কারের জন্য দরকার ভালো একটি ক্লেনজার। আর এই ক্লেজিং এ যদি ভিটামিন-সি এর বেনিফিটস পাওয়া যায়, তবে কেমন হয় বলুন তো?

 

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এমনই একটি ক্লেনজার হচ্ছে- মামাআর্থ ভিটামিন সি ফেইস ওয়াস উইথ ভিটামিন-সি এন্ড টার্মারিক। এ ফেইস ওয়াশটি ত্বকের ময়েশ্চারকে ধরে রেখে ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা দূর করতে সাহায্য করবে। আর এতে থাকা ভিটামিন-সি ত্বকের কোলাজেন লেভেলকে বুস্ট করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ফাইনলাইনস ও রিংকেলসকে প্রিভেন্ট করে। ভিটামিন-সি এর পাশাপাশি এতে আছে টারমারিক বা হলুদ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টক্সিন, প্যারাবেন-ফ্রি এবং মিনারেল অয়েল যুক্ত এই ফেইসওয়াশটি ডার্মাটলজিক্যালি টেস্টেড। তাই আপনার স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন এই ফেইসওয়াশটি।

 

ব্যবহারবিধি

অয়েল ক্লেনজার ব্যবহারের পর পরিমাণ মতো ফেইস ওয়াস হাতে নিয়ে নিন। এরপর সার্কুলার মোশনে ফেইসওয়াশটি ত্বকে এপ্লাই করুন। আলতো হাতে ত্বক পরিষ্কার করুন এবং পানিয়ে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.