অফবিট

অফিসে বসেও কীভাবে করবেন বেসিক স্কিন কেয়ার?

অফিস করলেও একটু সময় বের করে নিজের স্কিনটার বেসিক কেয়ার কিন্তু করাই যায়। বাইরে বের হওয়ার আগে আমরা একটু হলেও মেকআপ করে বের হই। অথচ সারাদিন মুখে এই মেকআপ থাকাটা কিন্তু খুব ভাল কথা না। তার উপর সানস্ক্রিনও রি-অ্যাপ্লাই করাটা জরুরী। আজকের লিখাটি মূলত তাদের জন্যে যারা মনে করেন, “সারাদিন অফিসে ছিলাম, বেসিক স্কিন কেয়ার আর করবো কীভাবে?” চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অফিসে থেকেও কীভাবে ঝটপট করে নেয়া যাবে বেসিক স্কিন কেয়ার।

 

 

 

 

দিনে প্রপার স্কিন কেয়ারের ধাপ গুলো কী কী?

 

অফিসে ঝটপট বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন কেমন হবে, তা জানার আগে চলুন জেনে নেই সাধারণত দিনের বেলা ত্বকের যত্নে বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিনের প্রপার স্টেপ গুলো কী কী। কারণ অফিসে ঝটপট বেসিক স্কিন কেয়ারের আগে বেসিক স্কিন কেয়ারের ব্যপারে জানাটা জরুরি।

 

 

 

 

দিনের বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন

 

(১) ক্লেনজিং ( স্কিনে মেকআপ রিলেটেড প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থাকলে ডাবল ক্লেনজিং মাস্ট)

 

 

 

 

(২) এক্সফোলিয়েশন ( সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ বার)

 

 

 

 

(৩) টোনিং ( দিনে এবং রাতে ক্লেনজিং এর পর মাস্ট)

 

 

 

 

(৪) ময়েশ্চারাইজিং

 

 

 

 

(৫) সান প্রোটেকশন ( দিনের বেলা রি-অ্যাপ্লাই মাস্ট)

 

 

 

 

(৬) ফেইস মাস্ক বা প্যাক (সাপ্তাহিক স্কিন কেয়ার রুটিনে ফেইস মাস্ক বা প্যাক রাখুন)

 

 

 

 

(৭) সিরাম অ্যাপ্লাই (বিশ বছর বয়সের পর থেকে সমস্যা অনুযায়ী সিরাম অ্যাপ্লাই করা ভাল)

 

 

 

 

অফিসে স্কিন কেয়ারের স্টেপ গুলো তাহলে কেমন হবে?

 

সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে আপনি আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী একটা ভাল ফেইসওয়াশ ব্যবহার করে নিন। এর ফলে, আপনার ফেইসটা ভাল করে ক্লিন হবে। এরপর, ময়েশ্চারাইজার এবং সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে নিন। এছাড়াও, যারা মুখে মেকআপ রিলেটেড কিছু ব্যবহার করতে চান, এসময় ব্যবহার করতে পারেন। তবে, অফিসে আসার পর পর স্কিন কেয়ারের তেমন একটা প্রয়োজন না হলেও একটা নির্দিষ্ট সময় পর ফেইস ডিহাইড্রেটেড ফিল হয়। এবং সানস্ক্রিনও রি-অ্যাপ্লাই করার সময় হয়ে যায়। তাই, বেসিক স্কিন কেয়ারের জন্যে লাঞ্চ এর পর পরের সময়টাই বেস্ট। অনেকেই ভাবছেন হয়তো, সানস্ক্রিন আবার কেন রি-অ্যাপ্লাই করতে হবে? হ্যাঁ! অবশ্যই। চলুন আগে তাই জেনে নেয়া যাক।

 

 

 

 

দিনের বেলা সানস্ক্রিন রি-অ্যাপ্লাই করা কি মাস্ট?

 

হ্যাঁ! মাস্ট। খেয়াল করে দেখবেন সানস্ক্রিনে এসপিএফ (SPF) কথাটি মেনশন করা থাকে। কারণ, এসপিএফ (SPF) মানে হলো- সান প্রটেকশান ফ্যাক্টর (Sun Protection Factor)। এবং এই এসপিএফ (SPF) এর উপরেই নির্ভর করে আপনার সানস্ক্রিন সান ড্যামেজ থেকে আপনার স্কিনকে কত সময়ের জন্যে সুরক্ষা দিতে পারবে। যখন কেউ এসপিএফ (SPF) ১৫ এর একটি সানস্ক্রিন ইউজ করে সেক্ষেত্রে, সে এসপিএফ (SPF) ১৫ কে ১০ দিয়ে গুণ করবে। গুণ করে যত মিনিট পাওয়া যাবে, সে ততো সময়ের জন্যে সূর্যরশ্মি থেকে প্রটেকটেড থাকবে। ফলাফল আসে ১৫০ মিনিট। অর্থাৎ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের জন্যে আপনি নিশ্চিন্ত!

 

 

 

 

ঠিক এভাবেই, যে যেই এসপিএফ (SPF) ব্যবহার করছেন তাকে ১০ দিয়ে গুণ দিলেই পেয়ে যাবেন আপনি কতক্ষণ ইউভি বি সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষিত আছেন। মূলত, এই কারণেই সানস্ক্রিন বাছাই করার সময় অনেকেই বেশি এসপিএফ (SPF) যুক্ত সানস্ক্রিন প্রেফার করে থাকে। তাই, বাইরে বের হলে তাই চেষ্টা করবেন বেশি এসপিএফ (SPF) যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে। যাইহোক, এবার ফিরে যাব অফিসে বেসিক স্কিন কেয়ারের ধাপ গুলোতে। এর জন্যে জাস্ট কয়েকটি প্রোডাক্ট ব্যাগে রাখলেই যথেষ্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.