স্কিন কেয়ার শুধু মেয়েদের বেলাই ঠিক আছে, ছেলেদের এর একদমই প্রয়োজন নেই! স্কিন কেয়ার হোক বা হেয়ার কেয়ারই হোক! এটির প্রয়োজন ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে আমাদের সবার। এই সিম্পল ব্যপারটির সমাজে গ্রহণযোগ্যতার অভাব থাকায়, অনেক ছেলেরা কোন সমস্যা হলেও লজ্জায় এর সমাধান নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে পারে না। তাই আজকে আমরা জেনে নিব, ছেলেদের খুব কমন কিছু সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে।
ছেলেদের কাছ থেকে যে প্রশ্নগুলো আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি
প্রতিদিন আমাদের কাছে স্কিনের সমস্যা এবং তার সমাধান চেয়ে নানা রকম প্রশ্ন আসে। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও আমাদের কাছে নানান প্রশ্ন এবং তার সমাধান কী হবে জানতে চায় প্রতিনিয়ত। তার মধ্যে খুব কমন যে সমস্যাগুলো ছেলেরা ফেস করে থাকে, সেগুলো হল-
ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা প্রচুর। কীভাবে দূর হবে?
স্কিন তেল চিটচিটে এবং অয়েলি হয়ে থাকে, ফ্রেশ স্কিন পাব কীভাবে?
রেগুলার সেভ করার ফলে স্কিন রাফ হয়ে আছে। কী করলে স্কিন আবার সফট হবে?
স্কিনটা খুব মলিন আর ফ্যাকাসে হয়ে আছে। কী করলে দেখতে প্রাণবন্ত লাগবে?
প্রায়ই মুখে ব্রণ উঠে এবং ব্রণের দাগ থেকে যায়। কী করলে ব্রণ এবং ব্রণের জন্যে থেকে যাওয়া দাগ কমে যাবে?
আজকে আমরা জেনে নিব, ছেলেদের এই কমন সমস্যাগুলোর সহজ কিছু সমধান নিয়ে।
(১) ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা দূর করবেন কীভাবে?
প্রথমেই জেনে নেই, ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস কী এবং কেন হয়?
ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস মুলত এক ধরণের ছোপ ছোপ ছোট গুঁটির মত দেখতে হয়ে থাকে। একে এক ধরনের ব্রণও বলা যায়। খেয়াল করলে দেখা যাবে, আমাদের স্কিনের পোরগুলো সবসময়ই ওপেন অবস্থায় থাকে। তাই ধুলোবালি, ময়লা এগুলো সহজেই এতে জমে যায়। এক পর্যায়ে এই গুঁটি গুঁটি বস্তুগুলো শক্ত হয়ে স্কিনের পোরগুলোকে বন্ধ করে দেয়। আবার এগুলোই পরবর্তীতে নানা জীবাণু এবং ময়লার সাথে এক হয়ে অক্সিডাইজ করে এবং কালচে রং ধারণ করে। একেই আমরা ব্ল্যাকহেডস বলে থাকি। আর মেয়েদের তুলনায়, ছেলেদের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা একটু বেশিই থাকে। তাই কম বেশি, সব ছেলেদের মধ্যেই ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা দেখা যায়। এবার চলুন সমাধান কী জেনে নেই।
যেহেতু ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা হয় মুলত, বাইরের ধুলোবালি, ময়লা স্কিনে জমে জমে। তাই যথাসম্ভব চেষ্টা করতে হবে স্কিনের পোরগুলোকে পরিষ্কার রাখার।
ছেলেরা খুব বেশি স্কিন কেয়ার রুটিন মেইনটেইন করতে চায় না, কিন্তু প্রতিদিন অন্তত ২ বার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখটা ভালভাবে পরিষ্কার করে নেয়া কিন্তু মাস্ট। এটি কোনভাবেই স্কিপ করা যাবে না।
তবে, ফেইসওয়াশ আমাদের মুখের ভিতরের ডাস্ট বা ইমপিউরিটিস পুরোপুরি ভাবে ক্লিন করতে পারে না। এজন্যে স্কিন কেয়ার রুটিনে ফেইসওয়াশ এর পাশাপাশি একটি স্ক্রাব রাখতে হবে। এক্সফলিয়েটর বা স্ক্রাব এর প্রথম কাজই হলো, আমাদের স্কিনে যে পুরানো মৃত কোষ রয়েছে তা পরিষ্কার করে ফেলা। এতে আমাদের স্কিনের ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা দূর হয় সহজেই। তবে, এক্সফলিয়েটর বা স্ক্রাব সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।
ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস এর সমস্যা দূর করার আরেকটি চমৎকার সল্যুশন হতে পারে নোস পোর স্ট্রিপস। এর আলাদা কোন ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয় না।