রেগুলার লাইফে কোন ভুলগুলো আর্লি এজিং সাইনের জন্য দায়ী?
স্কিনে আর্লি এজিং সাইনস ভিসিবল হওয়ার পেছনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর দায়ী। আমরা প্রতিদিনই হয়তো না বুঝে ভুলগুলো করে যাচ্ছি। টিনেজ থেকেই যদি সেই ভুলগুলো সম্পর্কে হুশিয়ার থাকা যায়, তাহলে অকালে বয়সের ছাপ ফেইসে ভিজিবল হবে না। সেইসাথে যাদের এজিং সাইন অলরেডি এসে গেছে, তাদেরও সেইসব ভুল শুধরে নেওয়া উচিত।
(১) সানস্ক্রিন ব্যবহারে ভুল হলে
সানস্ক্রিন ব্যবহারে ভুল হলে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়তে পারে
স্কিন কেয়ারের সব স্টেপই মেনে চলছেন আর সানস্ক্রিনও অ্যাপ্লাই করেন রোদে বের হলে। কিন্তু বাসায় থাকলে কি অ্যাপ্লাই করা হয়? বাসায় থাকলে অনেকেই আমরা সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করি না। দেখা যায়, রান্না করার সময় আগুনের তাপ আমাদের ত্বকে লাগছে, তা থেকেও আমাদের ত্বক ড্যামেজ হয়ে থাকে। সূর্যের তাপ বা যে কোন হিট সোর্স ত্বকের কোলাজেন প্রোডাকশন দিন দিন কমিয়ে আনে। ফলে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। আবার দেখা যায়, সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে সারাদিন আর রিঅ্যাপ্লাই করা হচ্ছে না। এতে কিন্তু আপনার ত্বক সুরক্ষিত থাকলো না!
বাসায় হোক বা বাহিরে থাকা হোক, সানস্ক্রিন ৩-৪ ঘণ্টা পর পর রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে। সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় আমাদের মাথায় রাখা উচিত, তা হচ্ছে এসপিএফ (SPF)। বাসায় থাকলে এসপিএফ ১৫ থেকে ৩০ হলেও চলবে, কিন্তু বাসার বাহিরে রোদে থাকলে এসপিএফ অবশ্যই ৩০ এর উপর হতে হবে, ৫০ হলে তো খুবই ভালো এবং অবশ্যই রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে নির্দিষ্ট সময় পর পর। আর টিনেজ থেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যাতে অকালে ত্বকে রিংকেলস বা ফাইন লাইনস না চলে আসে।
(২) ঠিকমত ফেইস ক্লিন না করলে বা ওভার ওয়াশ করলে
বাহির থেকে বাসায় আসার পর অনেকেই আমরা অলসতার কারণে ফেইস ঠিকমতো ক্লিন করি না। শুধু ফেইস ওয়াশ দিয়ে ফেইস ক্লিন করলে ফেইস ডিপলি ক্লিন হয় না। সানস্ক্রিন বার বার রিঅ্যাপ্লাই বা মেকআপ, যাই হোক না কেন তা প্রোপারলি ক্লিন করা জরুরি। আর অবশ্যই ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। এছাড়া বাসায় থাকলেও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই স্কিন ক্লিন করতে হবে। আমরা অনেকেই বার বার ফেইস ক্লিন করি, এতে ত্বক তার ন্যাচালার অয়েল ও ময়েশ্চার হারিয়ে ফেলে। এর ফলেও কিন্তু বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে। তাই ত্বকের ধরন বুঝে ভালোমানের ফেইস ওয়াশ ও অয়েল ক্লেনজার বাছাই করা উচিত।