অফবিট

বাতাসের আর্দ্রতা বা হিউমিডিটি লেভেল কীভাবে আমাদের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে?

হিউমিডিটি কিভাবে আমাদের ত্বকে এফেক্ট ফেলে? আর এই অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত? কিভাবে হিউমিডিটির প্রভাব থেকে স্কিনকে বাঁচাতে পারি? আজকের আর্টিকেলটা সেই বিষয় নিয়েই। আজকে আমরা জানবো, কীভাবে হিউমিডিটি লেভেল আমাদের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে এবং কী উপায়ে আমরা স্কিনকে ভালো রাখতে পারি।

 

 

 

 

হিউমিডিটি কীভাবে আমাদের স্কিনে প্রভাব ফেলে?

 

প্রথমেই আমাদের হিউমিডিটি কী, সেই বিষয়ে আমাদের জেনে নেওয়া দরকার। হিউমিডিটি বা আর্দ্রতা হচ্ছে, বাতাসে থাকা পানির মাত্রা। আর আমাদের স্কিনের কিন্তু সবসময় পারফেক্ট একটা আর্দ্রতা দরকার হয়। অতিরিক্ত হিউমিডিটি বা পরিমানে কম হিউমিডিটি আমাদের ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর এটা নির্ভর করে আপনি কেমন স্থানে থাকছেন আর সেখানকার আবহাওয়া কেমন সেটার উপরে। যেমন ধরুন, আপনি যেখানে বাস করছেন সেই জায়গাটার হিউমিডিটি লেভেল যদি কম হয়, তবে আপনি আপনার স্কিন ড্রাই এবং ডিহাইড্রেট ফিল করবেন। আবার হাই হিউমিডিটি লেভেলের মধ্যে থাকলে আপনার স্কিনে পিম্পল এবং র‍্যাশ দেখা যেতে পারে। তাই স্কিনের জন্য ব্যালেন্সড হিউমিডিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

 

হাই হিউমিডিটি

 

চলুন জেনে নেই, হাই হিউমিডিটি কিভাবে আমাদের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলে।

 

 

 

 

১. অত্যাধিক ঘাম হওয়া :

 

 

 

 

গরমের দিনে কিন্তু প্রচুর ঘাম হয় আমাদের। তাই না? কারন, তখন বাতাসে হিউমিডিটি এর পরিমান বেশী থাকে। অতিরিক্ত গরম এবং হিউমিডিটি এর কারনে আমরা প্রচুর পরিমানে ঘামতে থাকি। অতিরিক্ত গরম এবং ঘামের ফলে অনেক সময় স্কিন ড্রাই এবং ডিহাইড্রেট ফিল হতে পারে। যেটা আমার মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে, আর তখন স্কিনের অবস্থা বেশ বাজে হয়ে যায়।

 

 

 

 

২. হিট র‍্যাশ :

 

 

 

 

অনেকসময় আমরা আমাদের স্কিনের উপর ছোট ছোট লাল গোটা দেখতে পাই। যেগুলো খুবই ইচি এবং আনকমফোর্টেবল লাগে। এটাকেই মূলত হিট র‍্যাশ বলা হয়। অতিরিক্ত হিউমিডিটি এবং ঘামের ফলে স্কিনে এই হিট র‍্যাশ দেখ যায়।

 

 

 

 

৩. একনে :

 

 

 

 

অতিরিক্ত হিউমিডিটির ফলে যে সব স্কিন প্রবলেম দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একনে ব্রেকআউট। মূলত অত্যাধিক ঘামের ফলে স্কিনের পোর ক্লগ হয়ে যায়। যার ফলে স্কিনে ব্রণ দেখা যায়। মাঝে মাঝে এই ধরনের একনেগুলো অনেক ব্যথাযুক্ত হয়, যেটা আমাদের কাছে খুবই অস্বস্তিকর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লো হিউমিডিটি

 

লো হিউমিডিটি বলতে বাতাসে ময়েশ্চারের অভাবকেই বোঝায়। যেটা আমাদের স্কিনের উপর বাজেভাবে প্রভাব ফেলে। হাই হিউমিডিটি কিভাবে আমাদের স্কিনের উপরে প্রভাব ফেলে, সেটা তো জানা হলো, এবার চলুন লো হিউমিডিটি এর প্রভাব গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

 

 

 

 

ড্রাই স্কিন :

 

 

 

 

আমাদের স্কিন টাইপ যেটাই হোক, ময়েশ্চারের কিন্তু অবশ্যই দরকার আছে। কিন্তু, আপনি যেখানে থাকছেন সেখানে হিউমিডিটির পরিমান অনেক কম থাকলে সেটা স্কিনের উপর প্রভাব ফেলবেই। লো হিউমিডিটি স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল প্রোডিউস হতে বাঁধা দেয়

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.