প্রশ্ন ১:
সারাহ আপু জানতে চেয়েছেন, “আপু আমি কীভাবে বুঝবো আমার স্কিন টাইপ কী?” ইউটিউব থেকে সংগৃহীত।
উত্তরঃ স্কিন কেয়ারের শুরুতে আমাদের প্রথমেই বুঝতে হবে আমাদের স্কিন টাইপ অর্থাৎ ত্বক কী ধরনের। এটি বুঝতে না পারলে সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট মুশকিল হয়ে যায়। সাধারণত ৫ ধরনের ত্বক আমরা দেখে থাকি।
নরমাল
শুষ্ক বা ড্রাই স্কিন
তৈলাক্ত বা অয়েলি স্কিন
কম্বিনেশন এবং
সেনসিটিভ
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের ধরন কী?
ত্বকের ধরন বুঝার চেষ্টা করছে একজন
১) নরমাল ত্বক
নরমাল ত্বক খুব বেশি শুষ্ক নয়, আবার খুব বেশি তৈলাক্ত নয়। খুব বেশি সেনসিটিভও হবে না। প্রায় সব ধরনের প্রোডাক্টই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে। যাদের নরমাল স্কিন, তাদের ত্বকে তুলনামূলক কম সমস্যা হলেও অসতর্কতার ত্বক আবার শুষ্কও হয়ে যেতে পারে।
২) শুষ্ক ত্বক বা ড্রাই স্কিন
শুষ্ক ত্বক বা ড্রাই স্কিন যাদের তাদের ফেইসে একটু ফ্যাকাশে বা মলিনভাব থাকে। আর সাথে সাথে কিছুটা রাফনেসও। লালচে আভা দেখা দেয় অনেক সময়। স্কিনে পানিশুন্যতা থাকায় খুব অল্প বয়সেই দেখা দিতে পারে বলিরেখা বা বয়সের ছাপ। এছাড়াও যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের, চামড়া ওঠা, জ্বালা পোড়া, চুলকানো, চামড়া ফুলে যাওয়া এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার ত্বকের ধরন শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে আপনার হাত, পা, কনুই এবং স্ক্যাল্প অতিরিক্ত মাত্রায় শুষ্ক থাকবে।
৩) তৈলাক্ত ত্বক বা অয়েলি স্কিন
তৈলাক্ত ত্বক বা অয়েলি স্কিন যাদের তারা মুখ ক্লিন করার কিছুক্ষণ পরেই আবার মুখটা তেলতেলে হয়ে যায়। ডে লাইট বা রোদের সংস্পর্শে এলে ফেইসে তেলতেলে বা চকচকে দেখায়। তৈলাক্ত ত্বকের মুখের রোমছিদ্র বড় হয়। এর ফলে ঘাম, তেল ময়লা তাতে জমে গিয়ে একনে বা ব্রণের সমস্যা দেখা দিতেই থাকে।
৪) সেনসিটিভ স্কিন
শুষ্কতা, লালচে ভাব, ইচিনেস, জ্বালা পোড়া, ব্রণ, একনে, র্যাশের প্রবলেম এগুলো যদি আপনার প্রতিদিনের স্কিনের কন্ডিশন হয়ে থাকে তবে, আপনার স্কিন সেনসিটিভ। এই ধরনের স্কিন যাদের তারা যেকোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট হুট করেই ব্যবহার করতে পারেন না।