সাধারণত যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং প্রচুর সিবাম উৎপন্ন হয়, তাদের পোরস বাইরে থেকে দেখা যায়। খাওয়া দাওয়ার অনিয়ম, যত্নের অভাব সহ বিভিন্ন কারণেই এই সমস্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। স্কিনে এনলার্জ পোরস দেখতে ভালো দেখায় না! এছাড়া এতে কিন্তু ত্বক অমৃসণ হয়ে যায়। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকের মানুষদের এই সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। এনলার্জ পোরস নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়! ৫টি ঘরোয়া উপায়ে এই প্রবলেম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। চলুন আগে জেনে নেই পোরস বড় হয়ে যাওয়ার পেছনে কোন কোন ফ্যাক্টরগুলো দায়ী।
পোরস বড় হয়ে যাওয়ার কারণ
সাধারণত যাদের ত্বকে অতিরিক্ত তেল বা সিবাম উৎপন্ন হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। কিছু কারণে পোরস এর সাইজ বড় হয়ে যেতে পারে, আর তখনই স্কিনে এগুলো ভিজিবল হয়। চলুন দেখে নেই সেই কারণগুলো কী কী।
আয়নায় পোরস দেখছেন
১। অতিরিক্ত পরিমাণে সিবাম উৎপন্ন
২। ত্বকের নমনীয়তা কমে যাওয়া
৩। বংশগত কারণে
৪। ত্বকে কোলাজেন প্রোডাকশন কমে যাওয়া
৫। বয়স বৃদ্ধি
৬। অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে থাকা বা সান ড্যামেজ
৭। হরমোনাল ইমব্যালেন্স
নাকের চারপাশে রোমকূপ বেশি থাকায় এখানে বেশি পরিমাণে তেল উৎপন্ন হয়। এজন্য নাকের চারপাশ পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। ঠিকমতো ত্বক পরিষ্কার করা না হলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সৃষ্টি হয় এবং এতে মুখের পোরস বড় হয়ে যায়। টিনেজে হরমোনাল কারণে অনেকেরই পোরস ভিজিবল হয়। কারণ যেটাই হোক না কেন, সুন্দর ত্বক পেতে হলে বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করতে হবে।
বড় রোমকূপের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করার সাথে সাথে ঘরোয়াভাবে কিছু উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। ৫টি ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে এই স্কিন প্রবলেমের সল্যুশন হবে, সেটাই এখন আমরা জানবো।
এনলার্জ পোরস কমিয়ে আনতে ঘরোয়া উপায়
১) অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের পোরস মিনিমাইজ করতে এই উপাদানটির কোনো তুলনা হয় না। প্রতিদিন ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ম্যাসাজ করুন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর ১০ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি পোরগুলোকে সংকুচিত করে পোরসের সাইজ ছোট করে। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরা জেল স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করে। অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে এটি ত্বকের ভেতরে থাকা অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করে।