রক্তচন্দন বা রেড স্যান্ডেলউড নিয়ে কিছু কথা
প্রথমেই প্রশ্ন আসে যে, রেড স্যান্ডেলউড জিনিসটা আসলে কী? এটাকে রক্তচন্দনও বলা হয়। তবে সাদা চন্দন এর সাথে এর বেশ কিছু ভিন্নতা রয়েছে। এটি মূলত একটি গাছের কাঠ, যেটি গাছের একদম ভেতরের অংশে থাকে এবং এর রঙ লাল হয়। সবথেকে বড় তফাৎ হচ্ছে স্মেলে, রেড স্যান্ডেলউডে সাদা চন্দনের মতো সুগন্ধ থাকে না। লাল চন্দন বা রেড স্যান্ডেলউডে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটোরি প্রোপার্টি এবং আরও অনেক গুণাগুণ, তাই এটি আমাদের স্কিন কেয়ারের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
স্কিন কেয়ারে এর উপকারিতা ও ব্যবহারসমূহ
১) হেলদি লুকিং স্কিন পেতে
নরমালি আমরা হেলদি লুকিং স্কিন বলতে কী বুঝি? যে স্কিন বাইরে থেকে দেখতে হেলদি লাগে এবং ভেতর থেকেও নারিশড হয়, তাই না? আর লাল চন্দন বা রেড স্যান্ডেলউড পাউডার আমাদের স্কিনে সেই নারিশমেন্টটা দিতে সাহায্য করে। এজন্য, ১ থেকে ২ চামচ রেড স্যান্ডেলউড পাউডার নিয়ে এর সাথে আপনার পছন্দের যেকোনো ফেইস অয়েল (অলিভ অয়েল, জোজোবা অয়েল বা আমন্ড অয়েল নিতে পারেন) মিলিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন। এটি সপ্তাহে তিন দিন অ্যাপ্লাই করুন এবং ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২) গ্লোয়িং স্কিন পেতে
অনেক সময় প্রোপার স্কিন কেয়ার না করার ফলে আমাদের স্কিন দেখতে ড্রাই, ডাল ও লাইফলেস লাগে। এই সমস্যা থেকে সমাধান দিতে পারে রেড স্যান্ডেলউড। এজন্য একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ টকদই, ১ টেবিল চামচ রেড স্যান্ডেলউড পাউডার এবং এক চিমটি চামচ হলুদ গুঁড়ো নিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফেইস ক্লিন করে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এবং ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন। দেখবেন স্কিন কত সুন্দর গ্লো করছে!
৩) স্কিনকে ইভেন টোনড করতে
অনেক সময় আমাদের স্কিনে ছোপ ছোপ দাগ পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও ব্লেমিশ, ব্রেকআউট এগুলোর জন্য স্কিন দেখতে আনইভেন লাগে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে লাল চন্দন বা রেড স্যান্ডেলউড। এজন্য ২ টেবিল চামচ কোকোনাট মিল্ক, ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল এবং ২ টেবিল চামচ রেড স্যান্ডেলউড পাউডার নিয়ে মিক্স করে নিন এবং এই মাস্কটি সপ্তাহে ২ দিন ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন। কিছুক্ষণ পর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এভাবে খুব কম সময়ে আনইভেন স্কিনটোনের সমস্যা দূর হবে।