ডিহাইড্রেটেড একনে প্রন স্কিনের বৈশিষ্ট্য
ডিহাইড্রেটেড কোনো স্কিন টাইপ না! স্কিনের একটা কন্ডিশন। প্রথমেই প্রশ্ন আসতে পারে যে, ডিহাইড্রেটেড একনে প্রন স্কিন আসলে কী! বা কীভাবে বুঝবো যে আমার স্কিন ডিহাইড্রেটেড ও একনে প্রন?? একদম ঠিক! প্রথমেই এটা বুঝে নিতে হবে। এই ধরনের স্কিন বেসিক্যালি দেখতে ড্রাই এবং ফ্লেকি টাইপের হয়। এর ফলে স্কিনের টেক্সচার স্মুথ থাকে না, প্রাণহীন মনে হয় এবং পাশাপাশি একনের প্রবলেমও দেখা যায়। এই ধরনের স্কিনে ঠিকমতো টেককেয়ার না করলে স্কিন কন্ডিশন দিন দিন খারাপই হতে থাকে। তাই স্কিন কেয়ারে নজর দেওয়াটা খুবই জরুরি।
স্কিন একইসাথে ডিহাইড্রেটেড এবং একনে প্রন কেন হয়?
অবশ্যই কিছু কারণ তো রয়েছেই স্কিন একইসাথে ডিহাইড্রেটেড এবং একনে প্রন হওয়ার পেছনে। কিছু কমন কারণ আছে, চলুন জেনে নেই এখনই-
১. স্কিনে ড্রাই সোপ, হার্শ স্ক্রাব, ক্লেনজিং ব্রাশ বা হার্শ ব্রিসেলসযুক্ত মেকআপ ব্রাশ ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে স্কিন রুক্ষ ও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, সাথে একনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২. অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় স্পেসিফিক কোনো টোনার স্কিনে স্যুট করে না। এছাড়া অ্যালকোহলযুক্ত প্রোডাক্ট বা কিছু স্কিন ইরিটেটিং ইনগ্রেডিয়েন্টস যেমন- menthol, citruses, eucalyptus ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে স্কিন ডিহাইড্রেটেড হতে পারে।
৩. ফ্রেগ্রেন্স অয়েল এবং এমন কিছু প্রোডাক্ট যাতে সিনথেটিক ফ্রেগ্রেন্স আছে। এই ধরনের প্রোডাক্ট স্কিনকে ডিহাইড্রেটেড একনে প্রন করে দিতে পারে।
৪. স্কিনে রেগুলার সান ড্যামেজ হতে থাকলে সেটাও এই ধরনের স্কিন কন্ডিশনের একটা কারণ। যারা দিনের বেলা সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যান, তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
এই ধরনের স্কিনের যত্ন নেওয়ার উপায়
কারণগুলো তো জেনে নিলাম, এবার চলুন কীভাবে এই ধরনের স্কিনের যত্ন নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে একটু ধারণা নেই।
১. স্কিনের যত্নের কথা বললে প্রথমেই আসে স্কিন ক্লেনজিং এর নাম। ক্লেনজার হিসেবে বেছে নিন লাইট ওয়েট এবং জেন্টল ফেইস ওয়াশ, যেটা আপনার পোরগুলোকে ক্লগ করবে না এবং ত্বককে অতিরিক্ত ড্রাই করে দিবে না।
২. সিরাম এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আপনাকে বেছে নিতে হবে ফ্লুইড টেক্সচারের প্রোডাক্ট এবং যেটাতে স্কিন ইম্প্রুভিং ইনগ্রেডিয়েন্টস এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে।