অফবিট

কমন ময়েশ্চারাইজার মিসটেকস যা স্কিনকেয়ার রুটিনকে করছে অকার্যকর

ময়েশ্চারাইজার আসলে কী?

ময়েশ্চারাইজার হলো এমন একধরনের প্রোডাক্ট যা ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে ও সুরক্ষার স্তর দৃঢ় করে। ত্বক করে মসৃণ ও কোমল এবং ত্বকের হাইড্রেশন লক করে। ময়েশ্চারাইজারের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে পানি, অকলুসিভ, ইমোলিয়েন্ট, হিউমেকট্যান্ট উপাদান তালিকায় দেখা যায়। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যান্ট বেইজড ও ফ্লাওয়ার বেইজড অয়েল, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল ইত্যাদি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী এই উপাদানগুলোর পরিমাণও কম বেশি হয়ে থাকে। হিউমেকটেন্ট মূলত ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ইমোলিয়েন্ট ত্বক কোমল ও মসৃণ করে এবং অকলুসিভ ত্বকে ময়েশ্চারাইজেশন লক করে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ওপরে একটি সুরক্ষার প্রলেপ সৃষ্টি করে এবং ত্বককে বাইরের ধুলোবালি ও ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ার থেকে পানিশূন্যতা রোধ করে ও ন্যাচারাল অয়েল বজায় রাখে। কিছু কিছু মেডিকেটেড ময়েশ্চারাইজার ত্বকের ব্রণ, একনে, ইনফ্লামেশন কমাতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বাজারে সব ধরনের ত্বকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়, এজন্যই ত্বকের ধরন বুঝে ময়েশ্চারাইজার নির্ধারণ করতে হবে।

 

সঠিকভাবে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন

 

কমন ময়েশ্চারাইজার মিসটেকস

অপরিষ্কার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা

অপরিষ্কার ত্বকে বিভিন্ন ধুলাবালি, ময়লা, ব্যাকটেরিয়া থাকে। এগুলো ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ারের উপরে অবস্থান করে এবং পোরস বন্ধ করে ফেলে। অপরিষ্কার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ময়েশ্চারাইজার এই ধুলোবালির লেয়ার অতিক্রম করে ত্বকে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না। ময়লা, ধুলো বালি, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির সাথে ময়েশ্চারাইজারের অয়েল বেসড উপাদান যুক্ত হয়ে পোরসকে ক্লগড করে ফেলে যার কারণে একনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও অপরিষ্কার ত্বকে যে কোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে তা ভালোভাবে কার্যকর হতে পারে না বরং ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সুতরাং ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

 

হাত পরিষ্কার না করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা

বাইরের ধুলো বালি, রোগ জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির সংস্পর্শে এসে আমাদের হাতের ত্বক অপরিষ্কার ও নোংরা হয়। যদি অপরিষ্কার হাত দিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হয় তবে হাতে থাকা ময়লা, রোগ জীবাণু, ব্যাক্টেরিয়া ইত্যাদি ময়েশ্চারাইজারের সাথে কন্টামিনেশন ঘটায়। এর ফলে ত্বকে দেখা দেয় ব্রেক আউট, ফাঙ্গাল একনে, ব্রণের মতো সমস্যা। তাই ময়েশ্চারাইজার সহ যেকোনো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

 

ড্যাম্প স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন

 

শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আরেকটি কমন মিসটেক হল একদম শুষ্ক ত্বকে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করা। হালকা ভেজা অথবা ড্যাম্প ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের চেয়ে এর গুনাগুন বেড়ে যায় বহু গুনে। এতে ময়েশ্চারাইজারে থাকা অক্লুসিভ ও ইমোলিয়েন্ট খুব সহজেই ত্বকের উপরে থাকা পানিকে লক করতে পারে এবং সহজে পেনিট্রেট করতে পারে ত্বকের লেয়ারে । এখানে ভেজা বা ড্যাম্প বলতে মূলত বুঝানো হচ্ছে মুখ ধোয়ার পরে ভালোভাবে মোছার পর যে হালকা ভেজা ভাব ত্বকে থাকে সে অবস্থাকে। সুতরাং সম্পূর্ণ শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের চেয়ে ময়েশ্চারাইজার হালকা ড্যাম্প ত্বকে ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.