অভিনয় জগতে আসার সময় অভিনেতা বিশ্বনাথকে তাঁর মা বলেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে হলে থাকবে রণজিৎ মল্লিকের মতো। সেই কথাকে স্মরণে রেখেই বিশ্বনাথ বসুর আদর্শ অভিনেতা রণজিৎ মল্লিক। রঞ্জিত মল্লিক, টলিপাড়ার অন্যতম ম্যাটিনি স্টার। যাঁর ছবি প্রথম থেকেই সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে। দর্শক দরবারে যিনি চিরকালের সেরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টেছেন অভিনয়ের ধরন। পাল্টেছেন চরিত্রের উপস্থাপনাও। টলিপাড়ার সকলের ভীষণ পছন্দের মানুষ তিনি। যাঁর গোটা কেরিয়ারে নেই কোনও গসিপ। নেই কোনও কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির জল্পনা। তিনি অভিনেতা। পর্দা ও দর্শকের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগসূত্র। আর সেখানেই নিজেকে বেঁধে রেখেছেন বরাবরই। ফলে যে কোনও প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছেই তিনি আদর্শ।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৭ম দিন উপস্থিত দুজনেই। রঞ্জিত মল্লিককে পাশে নিয়ে মনের কথা উজার করে দিলেন বিশ্বনাথ। কেরিয়ার যখন শুরু হয়, তখনই বিশ্বনাথের মা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলে রঞ্জিত মল্লিকের মতো থাকতে হবে। এক ভিডিয়োতে বিশ্বনাথকে বলতে শোনা যায়–“আমার মা সারাক্ষণ বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে ওঁর মতো করে জীবন কাটাবি। আমি যেন খারাপ কথা না শুনি কখনও। এত শ্রদ্ধা করেন রঞ্জিত মল্লিককে। আমার পারিবারিক যোগাযোগ রয়েছে ওঁর সঙ্গে। তিনি আমায় বলেছিলেন, আমার বিয়ের সাক্ষী রঞ্জিত কাকা।”বিশ্বনাথ বসু, তিনি যে রঞ্জিত মল্লিককে ঠিক কতটা শ্রদ্ধা করেন, তা এদিনের কথায় স্পষ্ট। তবে কেবল তিনিই নন, টলিপাড়ার প্রতিটা অভিনেতাই রঞ্জিত মল্লিককে ভালবাসেন। তাই মাঝে মধ্যেই নানা জনের মুখে কেবলই প্রশংসাই শোনা যায় মল্লিকবাবুকে নিয়ে। টলি পাড়ায় অভিনয় তো আছেই তার সঙ্গে আছে বহু কেচ্ছার গল্প। কিন্তু রণজিৎ মল্লিক ছিলেন তার থেকে শতহস্ত দূরে। তাই তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র।