ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার যখন সব দিক থেকে কর্ম সংস্থান সংকুচিত করছে। বৃহৎ পুঁজির সহায়তা করছে। মার খাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, ঠিক সেই সময় বাংলায় আসলো নতুন প্রকল্প -‘দিদির সংকল্প।’ এর মধ্য দিয়ে বাংলায় আসতে চলেছে নতুন এক শিল্প বিপ্লব। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ বাংলার কর্ম সংস্থান বাড়ানো ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উজ্জীবিত করা, সঙ্গে উদ্যোগপতিদের বাংলায় টেনে আনা।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পের বিকাশের জন্য যে পঞ্চমুখী প্রকল্প নিয়েছেন, তা শুধুই অসাধারণ নয়, ভারতে তা বিরল ও অনন্য। সেই পঞ্চমুখী প্রকল্পগুলে হলো –
১) ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড – এই প্রকল্পর মাধ্যমে ২০ হাজার যুবক যুবতীর হাতে ব্যবসা ও অন্যান্য শিল্পদ্যোগের জন্য ৪২৬ কোটি টাকা আর্থিক সাহায়তা করবে।
২) শিল্প সহায়ক কেন্দ্র – প্রত্যেক জেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ পতিদের শিল্প গড়তে উৎসাহিত করবে।
৩) শিল্প সমস্যার সমাধানে MSME শিবির – এই শিবিরের মাধ্যমে সারা রাজ্যে ৪,২৪,৬০০ উদ্যোগপতির কাছে পৌঁছাতে করা হচ্ছে ২৪০৭টি শিবির।
৪) শিল্পসাথী পোর্টাল – সহজে ব্যবসা করার জন্য একটি আধুনিক অন লাইন সিঙ্গেল উইন্ড চালু করছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে নানা রকম শিল্প সহায়তা করা হবে।
৫) SAIP প্রকল্প – বাংলায় শিল্প নগরি গড়ার জন্য ৪৪টি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। তার সঙ্গে ১৬০৭ একর জুড়ে ৩৮টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে এই কর্মযজ্ঞ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। আর এর ফলেই বাংলায় বাড়বে শিল্প, কর্মসংস্থান ও বৃদ্ধি পাবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা। আর মানুষ যতই কেনাকাটা করবে ততই বাড়বে শিল্পের প্রসার।