এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ছবি জায়গা পায়নি। প্রতিবছরই এই উৎসবে ওপার বাংলার সিনেমাগুলোর জনপ্রিয়তা এবং জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরী, মুশারফ করিমের মতো শিল্পীদের উপস্থিতি নন্দন চত্বরে আলোড়ন তোলে। তবে এ বছর চিত্রটা ভিন্ন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ঘটনা কি এর কারণ? এ নিয়ে কেউই সরাসরি মন্তব্য করেননি।
শুধু বাংলাদেশের ছবি ব্রাত্য থাকার বিষয় নয়, এবার উৎসবের জৌলুসও কমে গিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। যেখানে আগের বছরগুলোর মতো জাঁকজমকপূর্ণ ঘোষণা দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও অনেকটাই সাধারণ। এমনকি টলিউডের পরিচিত মুখগুলোর উপস্থিতিও ছিল অনুপস্থিত।
এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের ম্লান চেহারার পেছনে শহরের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রভাব রয়েছে বলে অনেকের মত। গত কয়েক মাসে অভয়া ইস্যু, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলন, এবং বিভিন্ন বিক্ষোভ শহরকে আলোড়িত করেছে। এছাড়া টলিউডের একাংশের সঙ্গে শাসক দলের সংঘাত এবং পরিচালকদের সঙ্গে টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের বিরোধও উৎসবকে প্রভাবিত করেছে বলে ধারণা। ফলে, ৩০তম কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কি শুধুই এই ঘটনার শিকার, নাকি এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। তবে এবারের উৎসব যে আগের মতো আকর্ষণীয় হবে না, তা স্পষ্ট।