অফবিট

পাহাড়ি গ্রাম ‘রঙ্গো’ – তৈরি হয়েছে সেলফি ব্রিজ

উত্তরবঙ্গ মানেই ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম ডেস্টিনেশন। অন্যতম ভালো লাগার জায়গা। বর্ষার জল পেয়ে যৌবন ফিরে পায় পাহাড়ি ঝরনা আর নদী। তিস্তা-তোর্ষার মতো আগ্রাসী রূপ নেয়না তারা ঠিকই তবে তারা যেন প্রাণ ফিরে পায়। এমনই ছোট্ট পাহা়ড়ি নদী রঙ্গো। আর আকে কেন্দ্র করেই রয়েছে ছোট্ট গ্রাম রঙ্গো। একদম অভিনব অফবিট স্থান বলা যায়। খুব বেশি উঁচুতে নয় আবার একেবারে সমতলও নয়। ঝালং, বিন্দু যাওয়ার রাস্তা যেখান থেকে দুদিকে চলে গিয়েছে। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে রঙ্গো যাওয়ার পথ। অন্যান্য পাহাড়ি জায়গার থেকে রঙ্গো যাওয়ার পথ অনেকটা ভাল। নদী,পাহাড়,জঙ্গল মিলিয়ে একদম নতুন অনুভূতি।

গরুবাথানের অদূরেই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম রঙ্গো। একেবারে সাদামাটা কয়েকটা বাড়ি। রঙ্গো রিভার বেডের মূল আকর্ষণ সেলফি ব্রিজ। পর্যটকা এখানে এলে এই রিভার বেডে ঘুরতে ভোলেন না। রঙ্গো নদীর একদিকে রঙ্গো গ্রাম। আর আরেক দিকে রাবার আর সিঙ্কোনা গাছেন জঙ্গল। এখানে একটা গোটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যায়। অনেকেই বলবেন হঠাৎ সেলফি ব্রিজ কেন নাম। রঙ্গো নদীর উপরে ছোট্ট একটা কাঠের সেতু রয়েছে। এখানে এসে পর্যটকরা এবং স্থানীয়রা সেলফি তোলেন। সেই থেকেই এই জায়গাটির নাম হয়ে দিয়েছে সেলফি ব্রিজ। উত্তরবঙ্গের অনেকেই বর্ষার সময় এখানে আসেন।

Related Articles

  এখানে থাকার বলতে কয়েকটি মাত্র হোমস্টে রয়েছে। সেখানে আগে থেকে বুকিং করে আসা ভালো। নইলে বুকিং পাওয়া যায় না। যাঁরা ঝালং, বিন্দু যাচ্ছেন তাঁরা যাওয়ার পথে বা ফিরতি পথে চলে আসতে পারেন রঙ্গো। গ্রামের পথে ছোট্ট পাহাড়ি নদী। সঙ্গে সেলফি ব্রিজে সেলফি তোলার সুযোগ পেয়ে যাবেন। তবে রঙ্গোতে আসতে হলে গাড়ি আগে থেকে ভাড়া করে রাখাই ভাল। হোমস্টেতে এডভান্স বুক করা থাকলে ওরাও গাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারে। দিন ২/৩ অপূর্বভাবে কাটিয়ে আসতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.