কার্তিক মাসের অমাবস্যা, বাঙালির কাছে কালীপুজোর রাত। অন্ধকার রাতকে আলোকিত করে তোলা, এই উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কিন্তু কেন এই আলোর সমারোহ? আসুন জেনে নিই।
অন্ধকারকে জয় করে আলো:
- দীপাবলির সঙ্গে সম্পর্ক: কালীপুজোর দিনটিতেই দীপাবলি উৎসবও পালিত হয়। দীপাবলির মূল তাৎপর্য হল অন্ধকারকে জয় করে আলোর আগমন। এই ধারণা কালীপুজোতেও প্রতিফলিত হয়।
- অশুভ শক্তির নিবারণ: আলোকে শুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। কালীপুজোতে অশুভ শক্তিকে দূর করে শুভ শক্তির আরাধনা করা হয়। এই কারণে বাড়িঘর, মন্দির, পূজামণ্ডপ সবখানে আলোকসজ্জা করা হয়।
- জ্ঞানের প্রতীক: আলোকে জ্ঞানের প্রতীকও বলা হয়। অন্ধকার অজ্ঞানতার প্রতীক হলে আলো জ্ঞানের দিশা দেখায়। কালীপুজোতে জ্ঞানের আলোকে জাগিয়ে তোলার প্রতীক হিসেবে আলোর ব্যবহার করা হয়।
ইতিহাসের ছোঁয়া:
- দীপান্বিতা অমাবস্যা: কালীপুজোর দিনকে দীপান্বিতা অমাবস্যা বলা হয়। অর্থাৎ, দীপ জ্বালানোর অমাবস্যা। এই প্রথা কবে থেকে শুরু হয়েছিল, তার সঠিক ইতিহাস জানা যায় না।
- তন্ত্র ও কালীপুজো: তন্ত্রশাস্ত্রে আলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। কালীপুজোতে তন্ত্রের অনুসরণ করা হয়। তাই আলোর ব্যবহার এই পুজোর একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
আজকের দিনে:
আজকের দিনে কালীপুজো আরও বেশি আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। রঙিন বাতি, ফানুস, আতসবাজি সব মিলিয়ে রাতের আকাশকে রঙিন করে তোলে। এই আলোর সমারোহ শুধু উৎসবের আমেজ বাড়ায় না, একইসঙ্গে সম্প্রদায়ের একতাও বৃদ্ধি করে।
সমাপ্তি:
কালীপুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আলোর সমারোহ এই উৎসবকে আরও বিশেষ করে তোলে। আশা করি এই প্রতিবেদন আপনাদের কালীপুজো সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সাহায্য করবে।