মহিলাদের ঋতুস্রাবকালীন সবেতন ছুটির প্রসঙ্গ নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর গত ৮ ডিসেম্বর সংসদে এই প্রসঙ্গ তোলেন। বুধবার আবারও এই বিষয়ে আলোচনা হয় রাজ্যসভায়।
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “মহিলাদের ঋতুস্রাব এবং ঋতুচক্র শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নয়। এটি একজন মহিলার জীবনযাত্রার স্বাভাবিক অংশ। আমাদের এমন বিষয়ে প্রস্তাব করা উচিত নয় যেখানে মহিলাদের সমান অধিকারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। শুধুমাত্র এই কারণে যে, ঋতুস্রাব হয় না এমন একজনের ঋতুস্রাবকালের প্রতি একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।”
মন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন কঙ্গনা রানাউত। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “কর্মরত মহিলা, এই শব্দটা একটা কথার কথা মাত্র, মানব সভ্যতার ইতিহাসে একজন নারীও বিনা কাজে থাকেননি। চাষাবাদ থেকে বাড়ির কাজ থেকে বাচ্চাদের মানুষ করা, মহিলারা সবসময় কাজ করেন এবং দেশ, জাতি, পরিবারের প্রতি তাঁদের কর্তব্যের মাঝে কেউ আসতে পারে না। সুতরাং কোনও মেডিক্যাল কন্ডিশন ছাড়া মহিলাদের ঋতুস্রাবের জন্য কোনও সবেতন ছুটির প্রয়োজন নেই। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন, এটা ঋতুস্রাব মাত্র, কোনও অসুস্থতা বা প্রতিবন্ধকতা নয়।”
কঙ্গনার এই মন্তব্যের সমর্থন করেছেন অনেকেই। তারা বলছেন, ঋতুস্রাব একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। এটিকে কোনও অসুস্থতা বা প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা উচিত নয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের কারণে শারীরিক কষ্ট বা অস্বস্তি হতে পারে। সেক্ষেত্রে মহিলাদের সবেতন ছুটির সুযোগ দেওয়া উচিত।
এদিকে, ঋতুস্রাবকালীন সবেতন ছুটির প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন অনেকেই। তারা বলছেন, এই প্রস্তাব করলে মহিলাদের চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য হবে। পুরুষদের মতো মহিলাদেরও সমান অধিকার রয়েছে। তাই, কোনও বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন নেই।