বাংলাদেশের একাংশের মানুষের মধ্যে ভারতের প্রতি বিদ্বেষের বিষবাষ্প ক্রমেই বাড়ছে। তা খেলাধুলা ছাড়িয়ে রাজনীতি, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের পরাজয়ের পর এই বিদ্বেষ আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। ভারতের হার নিয়ে বাংলাদেশের একাংশ নেটিজেনদের কুরুচিকর আক্রমণ ও কটূক্তির বিষোদগার সমালোচিত হয়েছে সর্বত্র।
এই প্রেক্ষাপটে নিজের দেশের মানুষের সমালোচনা করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, “খেলাকে আর মানুষ শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না। এটাই আমার খারাপ লাগার জায়গা। খেলাতে হার-জিত থাকেই, তবে সেটার ফলে এমন হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা কাম্য নয়। বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছে, এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে রাজনীতি হোক কিংবা খেলা। সবক্ষেত্রেই। এটা বাস্তব। সব দেশেই এমন থাকে। বাংলাদেশেও আছে।”
চঞ্চল চৌধুরীর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই। তারা বলছেন, খেলাধুলা হিংসার বিষবাষ্প ছড়ানোর মাধ্যম নয়, বরং এটি মানুষের মধ্যে সহমর্মিতা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলার মাধ্যম।
একই সঙ্গে অনেকেই বলছেন, চঞ্চল চৌধুরীর এই বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ এখনও বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে উঠে চিন্তা করতে পারছে না। তারা এখনও ভারতকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে, বন্ধু হিসেবে নয়।