নিজের মুখটা ভেসে ওঠে কোন গরিব ছেলেকে দেখলে, কেউ ঠিক মতন চিকিৎসা পাচ্ছে কিনা তার জন্য মন আকুল হয়ে ওঠে, কোন বিধবা মহিলার অক্লান্ত পরিশ্রম করা দেখলেই নিজের মায়ের ক্লান্ত মুখটা ভেসে ওঠে। আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন এমনই এক সাক্ষাৎকারে রমেশ ঘোলাপ ওরফে রামু। মহারাষ্ট্রের সোলাপুর এর মহাগাঁওয়ের সেই রামু আজ আইএএস অফিসার।
রমেশের পা শৈশবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পোলিও আক্রান্ত হয়ে। তিনি অতি নিম্নবিত্ত পরিবারে মানুষ হয়েছেন। তার বাবার ছিল একটি সাইকেল সারাইয়ের দোকান। সেই দিয়েই কোনরকমে চারজনের সংসার চলত। রমেশের একটি দাদাও ছিল। রমেশ স্থানীয় স্কুলেই পড়াশোনা করতেন। প্রথম থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছেলে বলে শিক্ষকদের চোখের মনি হয়ে উঠেছিল।
২০০৫ সালে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় একটা বড় ধাক্কা খেলেন তার বাবা মারা যায় সৎকার করার মতন টাকাও তাদের কাছে ছিল না। তারপর ধীরে ধীরে তিনি তার মাকে সাহায্য করতেন কলেজে পড়াকালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তখনই তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় তিনি একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। সেখান থেকেই পড়াশোনা করে আজ তিনি আইএএস অফিসার।