সকাল থেকেই পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল! তবে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় সমস্যা শুরু হয়েছিল এক্কেবারে মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই। সেই পরিস্থিতিই চরমে পৌঁছয় ভোটের আগের রাত অর্থাৎ শুক্রবার রাতে। একাধিক জায়গায় বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে আসে শাসক এবং বিরোধী দুই দলের বিরুদ্ধেই।
অভিযোগ, শুধুমাত্র সেদিন রাতেই খুন হন তিন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকার। শুক্রবার রাতে গ্রামের এক চায়ের দোকানে বসেছিলেন বাবর আলি এবং ফুলচাঁদ শেখ নামক দুই ব্যক্তি। এর মাঝেই কয়েকজন দুষ্কৃতী সেখানে আসে এবং দু’জনকে বেধড়ক মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় দুজনকে।সেখানকার চিকিৎসকেরা বাবরকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যে রক্ত বইছে! রেজিনগর থানার নাজিরপুরে ইয়াসিন শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামেও একটি ফাঁকা জমি থেকে শাসকদলের কর্মী সাবিরুদ্দিন শেখের দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে খুন করেন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।