“মেয়েদের ছোট করা, সারাক্ষণ নেশা করা, এগুলো আমি করতে পারব না।” ‘খাদান’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় প্রত্যাখ্যান করার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন বনি সেনগুপ্ত। পুজোয় আসতে চলেছে বনির নতুন ছবি ‘বানসারা’। অপর দিকে ‘খাদান’-এর সাফল্য শুধু ভারতে সীমাবদ্ধ নেই, ভারতের বাইরেও এই সাফল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলা কমার্শিয়াল ছবিকে যেন এক নতুন আলোর দিশা দেখাচ্ছে এই ছবি। জানা গিয়েছিল, এই ‘খাদান’ ছবিরই একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন ‘বরবাদ’ খ্যাত অভিনেতা।
কিন্তু তিনি নাকি ফিরিয়ে দেন সেই প্রস্তাব। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত? কারণ জানতে চাওয়ায় বনি বলেন, “যেই চরিত্রটির জন্য আমাকে বলা হয়েছিল, সেই চরিত্রটার জন্য আমি নিজেকে ঠিক বলে মনে করিনি। ওরকম চরিত্র করার জন্য আমি এখনও প্রস্তুত নই। সেই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য, মহিলাদের ছোট করা, সর্বক্ষণ নেশা করে থাকা, যেগুলো আমি করতে পারব না। আমি এখনও ওই ধরনের চরিত্র করব বলে ভাবিনি। সেটা আগে নিজের মন থেকে আসতে হবে যে, এরকম কিছু করব। কিন্তু আমার মনে হয়নি যে আমি এই চরিত্রটার মধ্যে সেভাবে ঢুকতে পারব। তাই জন্যই আমি না করেছিলাম। এবং আমি দেবকে জানিয়ে এবং ওর সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি দেবকে না জানিয়ে মুখের উপর না করিনি। দেব নিজেও বলেছিল যে “ঠিক আছে, কোনও ব্যাপার না। ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে অন্য কোনও কাজ করব।”
ভবিষ্যতে আবার এরকম কোন চরিত্র পেলে কী করবেন বনি? তাঁর কথায়, “আমি যদি সেই চরিত্রটি করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তাহলে অবশ্যই করব। আমার মন থেকে যদি আসে যে, আমি এই মুহূর্তে এরকম চরিত্র করেছি করতে পারব, তাহলে নিশ্চয়ই হ্যাঁ বলব।”
ট্রোল হওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন টলি অভিনেতা। বনি বলেন, “আমরা সব থেকে বড় টার্গেট। সব বিষয়ে। সে আরজিকর কাণ্ড হোক, বা অন্য কোনও বিষয়, ট্রোল হওয়া তো চলেই আসছে অনেকদিন থেকে৷ এটা আমাদের কাছে নতুন কোনও ব্যাপার নয়। আমাদের কাছে এসব ধাতস্থ হয়ে গিয়েছে। কে কী বলল, এখন আর গায়ে মাখি না। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট হত। খারাপ লাগত। এখন আর সেসব মনে হয় না। এখন আমরা এড়িয়ে চলি। কে কী বলল, কেন বলল, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমার মনে হয়, আমরা যদি ভাল কাজ করি, তাহলে এমনই সবার চোখে পড়বে। যেমন কৌশানী একটা সুযোগ পেয়েছে ‘বহুরূপী’-তে নিজেকে প্রমাণ করার। ওকেও আগে লোকে ট্রোল করত। কিন্তু ও সুযোগ পেয়ে মানুষকে চুপ করিয়েছে। আমরা সব অভিনেতা-অভিনেত্রী চেষ্টা করি ভাল কোনও কাজ দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করার। কিন্তু তারপরও দেখি অনেকে ট্রোল করছে। ওদেরকে থামানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।”