৯০-১০০ টাকা থেকে শুরু। শেষ যে কোথায়, তা কে বলতে পারে। একবিংশ শতাব্দীতে মাল্টিপ্লেক্সের ভিড়ে গুটিকয়েক সিঙ্গল স্ক্রিনে তাও সিনেমার টিকিট সর্বসাধারণের জন্য। তার বাইরে এখম সিনেমা দেখতে যাওয়া মানেই পকেটের কথা চিন্তা করা। তার সঙ্গে রয়েছে পপকর্ন, কোল্ড ড্রিঙ্কসের হাতছানি। সব মিলিয়ে বিনোদন এখন বেশ খরচসাপেক্ষ।
এমনই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল ‘শোলে’ ছবির পুরনো টিকিট। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত, অমিতাভ বচ্চন, হেমা মালিনী, জয়া বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার এবং আমজাদ খান অভিনীত এই ছবিটি বলিউডের ইতিহাসে ‘কাল্ট’ হিসেবেই পরিচিত।
আশ্চর্যজনক ঘটনা, ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে সাফল্য পায়নি। সিপ্পির সমস্ত আশা এই ছবির উপর ছিল। কিন্তু বক্স অফিসে ভাল ফল না করায় ছবিকে বাঁচানোর জন্য ক্লাইম্যাক্স আবার শুট করার কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছিলেন। তবে, ছবিটি ধীরে ধীরে গতি নেয়। লোকমুখে শুনে শুনে যে ছবি এমন ছুটে চলে, যে দৌড় সম্ভবত আজও থামেনি। আকর্ষণীয় গল্প, অবিস্মরণীয় সংলাপ এবং কালজয়ী সঙ্গীতে এখনও পর্যন্ত এই ছবি নিয়ে গবেষণা হয়।
চলতি বছর ‘শোলে’র সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন। আর সেই উপলক্ষেই প্রথম স্ক্রিনিংয়ের ৫০ বছর পুরনো একটি টিকিটের একটি ছবি ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। চমকে গিয়েছে নতুন প্রজন্ম। এককালে এই মূল্যের টিকিটও মিলত এই দেশেই!
পিছনের সিট: ১.৫০ টাকা– ২.০০ টাকা
মিডল সিট: ২.৫০ টাকা
ব্যালকনি (সবচেয়ে দামি): ৩.০০ টাকা
উচ্চমূল্যের মাল্টিপ্লেক্স টিকিট কেটে অভ্যস্ত প্রজন্মের নেটিজেনরা নিজেদের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না!
সেই সময়ের নিরিখে ছবির বাজেট ছিল আকাশছোঁয়া। প্রায় ৩ কোটি টাকা। ১৯৭০-এর দশকে এটি একটি বিরাট অঙ্কের টাকা। এর মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছিল শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিকে। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে রমেশ বলেছিলেন, “আজ যদি শোলে তৈরি হত, তাহলে এর বাজেট বেড়ে গিয়ে হত ১৫০ কোটি। যেখানে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকত শুধুমাত্র তারকা অভিনেতাদের জন্য।
ছবিটি পাঁচ বছর ধরে একটানা প্রেক্ষাগৃহে চলে এবং পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে বিবিসি ইন্ডিয়া কর্তৃক ‘সহস্রাব্দের ছবি’ হিসেবে সম্মানিত হয়।