সুন্দর ত্বক পেতে টমেটো
১. ত্বকের বয়স কমে
বলিরেখা দূর করতে টমেটো –
আপনার বয়স কী ৩০ পেরিয়েছে? তাহলে প্রতিদিন টমেটোর রস লাগানো শুরু করুন মুখে। কারণ এই বয়সের পর থেকেই নানা কারণে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু যদি টমেটোকে উদ্ধার কাজে লাগান, তাহলে ত্বকের এমন খারাপ অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান ত্বকের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিনের পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার কারণে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে। ফলে বলিরেখা গায়েব হতে সময় লাগে না।
২. সূর্যের খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচায়
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাড়ির বাইরে বেরোনোর আগে যদি অল্প করে টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। সেই সঙ্গে তাপ প্রবাহের কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। আসলে টমেটোতে থাকা লাইকোপিন (lycopene) নামক একটি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টমেটো –
খেয়াল করে দেখবেন স্ট্রেস এবং পরিবেশ দূষণসহ আরও নানা কারণে সিংহভাগেরই ত্বকের বারোটা বেজে যায়! সেই সঙ্গে স্কিনের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়ার কারণে সৌন্দর্য কমে চোখে পড়ার মতো। এমন পরিস্থিতিতে আপনার হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে আনতে কিন্তু নানাভাবে সাহায্য করতে পারে টমেটো। প্রসঙ্গত একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে যে নিয়মিত টমেটোর রস মুখে লাগালে ত্বকের ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (Anti-oxidant) এর মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
৪. ত্বকে জমে থাকা ময়লা দূর হয়
সুন্দর ত্বক পেতে অ্যাভোকাডো ও টমেটোর রস –
একথা নিশ্চয় জানা আছে যে পরিবেশে উপস্থিত ডাস্ট পার্টিকেলগুলো প্রতিনিয়ত ত্বকের ভেতর প্রবেশ করে স্কিনের মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। তাই তো দিনের শেষে সবাইকেই ভাল করে মুখ ধুয়ে শুতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হল বাজারে চলতি বেশিরভাগ ফেইস ওয়াশ জেলই এই কাজটি ঠিক মতো করে উঠতে পারে না। ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এমন অবস্থায় ত্বককে বাঁচাতে যদি অ্যাভোকাডোরের (Avocado) সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে কিন্তু দারুণ উপকার পাবেন। আসলে এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান একদিকে যেমন ত্বকে জমে থাকা টক্সিক (Toxic) উপাদানগুলো বের করে দেয়। সেই সঙ্গে ত্বককে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তোলে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পড়ার মতো।