কলাঃ একেবারেই আমাদের হাতের কাছেই থাকে। কলা আর সাথে একটুখানি টকদই, ব্যস! অসাধারণ একটি ফেসপ্যাক। এই প্যাকটি ত্বকের দাগ দূর করতে অসাধারণভাবে কাজ করে। সাথে একটু খানি মধু মিশিয়ে নিলে তো কথাই নেই।
বার্লিঃ রান্না ঘরে খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। এই বার্লি দিয়ে তৈরি প্যাকও কিন্ত খুব সহজেই আপনাকে দাগহীন ইভেন টোন পেতে সাহায্য করবে।
গাজরঃ গাজর খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন এর অন্যান্য গুনাবলীও রয়েছে। গাজরের রস আর সাথে একটু দুধ, এই মিশ্রণটি আপনাকে দেবে উজ্জ্বল ত্বক।
শসাঃ ত্বকের যত্নে শসার কোন জুড়ি নেই। এটি একইসাথে ত্বককে পরিস্কার করে, একটা সুদিং ইফেক্ট দেয়, পাশাপাশি এটি অ্যাসট্রিনজেন্ট হিসেবেই কাজ করে। শসা গ্রেট করে তাতে সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। আপনার মুখের জন্যে অসাধারণ একটি ফেসপ্যাক তৈরি। অয়েলি স্কিন এ শসার স্লাইস দিয়ে মুখ মুছে নিলে সঙ্গে সঙ্গেই একটা বেশি রিফ্রেশিং ভাব চলে আসবে ত্বকে।
ডিমঃ ত্বক এবং চুল দুটোর জন্যেই কার্যকরী। ডিমের সাদা অংশ খুবই ভালো ক্লেঞ্জার, এছাড়াও ডিম ত্বককে টানটান রাখতে সহায়তা করে। স্পেশাল কনডিশনিং-এর জন্য ডিম আর আধা কাপ দুধ মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। শ্যাম্পু করার পরে তফাৎ-টা নিজেই বুঝতে পারবেন।
মধুঃ ত্বকের বেস্ট ময়েশ্চারাইজার। যেকোনো প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত মুখে মধু লাগালে খুব দ্রুত একটা সফট এবং স্যাটিন লুক চলে আসবে।
লেবুঃ একটা অসাধারণ ক্লেঞ্জার প্লাস অ্যাসট্রিনজেন্ট। ত্বককে পরিষ্কার করে এবং দ্রুত দাগ ছোপ কমায়। একদিন পর পর ব্যবহার করলে দুই সপ্তাহেই চোখে পড়ার মত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর চুলে শাইন ফিরিয়ে আনতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার। শ্যাম্পু করার আগে একটু লেবুর রস আর খানিকটা অলিভ মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন পাঁচ থেকে সাত মিনিট। প্রথম দিন থেকেই পাবেন ঝরঝরে শাইনি চুল।
কমলাঃ শীতে কমলা খেয়ে খোসা না ফেলে দিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখুন। পরে গ্রাইন্ড করে বোতলে ভরে রাখুন। যেকোনো ফেস মাস্ক-এ ব্যবহার করলে বেশ ভালো ফল পাবেন।
আলুঃ আমাদের সবচেয়ে প্রিয় সবজি! আলুর রস ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে দারুণভাবে কার্যকরী। এছাড়াও এটি ত্বককে টানটান করে তোলে। আলুর রস, দুধ আর সামান্য কাঁচা হলুদ, ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এই ফেস প্যাকের তুলনা নেই।
পুদিনাঃ এর আছে দারুণ এক কুলিং এবং হিলিং ইফেক্ট। এটি রীতিমত ত্বকের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করে। ত্বকের দাগ ছোপ কমানোর পাশাপাশি, র্যাশ, একনি কমাতেও দারুণভাবে কাজ করে।
গোলাপঃ সৌন্দর্যচর্চায় গোলাপের ব্যবহার বহুবিধ। প্রায় সব ফেসপ্যাক-এই এর ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকে আনে গ্লো, বড় হয়ে যাওয়া পোরগুলোকে সংকুচিত করে, ত্বকের পিএইচ বজায় রাখে।
টমেটোঃ টমেটোর রসকে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, আবার টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে বানানো যায় ফেসপ্যাক। মুলতানি মাটি আর টমেটোর রস একসাথে মিশিয়ে লাগালে ওপেন পোরস-এর সমস্যা খুব দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
টকদইঃ এর গুণের শেষ নেই। আর কিছু না পারলে অন্তত রোজ গোসলের আগে শুধু টক দই মুখে, হাতে, গলায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। আর খানিকটা লাগান চুলে। অল্প খরচে এর চেয়ে ভালো ফুল বডি ট্রিটমেন্ট আর হয় না।
এবারে তো জানলেন, ঘরে থাকা জিনিসগুলো দিয়েই কত সহজেই আপনি করতে পারবেন সৌন্দর্যচর্চা। তাহলে আর দেরি কেন, আজই শুরু করে দিন!