ছ’বার ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত সইফ আলি খান। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বাবার হাতে ছুরি ধরাল ছোট্ট ছেলে জেহ! তবে কি এ বার বাবার সুরক্ষায় অস্ত্র ধরল পরিবারের খুদে সদস্য?
১৬ জানুয়ারি, বলিপাড়ার সেই ভয়াবহ রাতের কথা মনে পড়লেই রীতিমতো শিউরে ওঠে গা। বান্দ্রার আবাসনে হওয়া হামলার ঘটনার পর অভিনেতার অস্ত্রোপচার হয় লীলাবতী হাসপাতালে। ২১ জানুয়ারি ঘরে ফেরেন সইফ। স্বাভাবিকভাবেই সেই অভিশপ্ত রাত ভুলতে পারছে না বলিপাড়ার ছোটে নবাবের পরিবার। এমনকি এই ঘটনার রেশ রয়ে গিয়েছে সইফ আলি খানের পুত্র খুদে জেহ-র ওপরেও। কিন্তু এখন কেমন আছে সইফের পরিবার?
হামলার পর এবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অভিনেতা সইফ আলী খান। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে, ঘটনার পর মা শর্মিলা ঠাকুর এবং স্ত্রী করিনা কাপুরের অবস্থার কথা অনুরাগীদের জানিয়েছিলেন বলি অভিনেতা। খোদ সইফের কথায়, তৈমুর এবং জেহ- তাঁর দু’সন্তানই উদ্বিগ্ন বাবার সুরক্ষা নিয়ে।
ওই রাতে দুষ্কৃতীর নজর ছিল জেহ-র ওপর। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়েই হামলার মুখে পড়েছিলেন সইফ। কিন্তু এ বার বাবার সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত একরত্তি। সইফ জানান, “ঈশ্বর কে ধন্যবাদ। বাচ্চারা ঠিক আছে। জেহ নিজের খেলনা প্লাস্টিকের ছুরি আমায় দিয়েছে। বলেছে, ‘এ বার থেকে রোজ বিছানার পাশে এই ছুরিটা নিয়ে ঘুমিও। আর ওই চোরটা এলে এটা দিয়ে মারবে।” যদিও, তরোয়াল ভেবেই বাবাকে উপহার দিয়েছে ছোট্ট জেহ। চোর এলে ছুরি হোক কিংবা তরোয়াল, তার বাবা যেন রীতিমতো ‘তাণ্ডব’ করে জয়লাভ করে। একথায় এটাই তার ইচ্ছে।
পাশাপাশি সে নাকি বলে যাচ্ছে, “গীতা বাবাকে বাঁচিয়েছে আর বাবা আমাকে।” এপ্রসঙ্গে, অভিনেতা আরও জানান, “অন্যদিকে সারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে ইব্রাহিমও। ও সাধারণত নিজের আবেগ প্রকাশ করে না। সে হাসপাতালেও আমার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছে।”