31/01/25 তারিখে সন্তোষ যাদব খুনের পর থেকে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দেয় খুনের সাথে জড়িত মূল আসামী রাজেশ ও তার সহযোগীরা। একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করে শুরু হয় আসামিদের গ্রেপ্তার করার তৎপরতা। বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যদের চারটি দলে ভাগ করা হয় আর দু’টি দলকে পাঠানো হয় অন্য রাজ্যে। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় গোপন করে বিহারের বেগুসরাই, কখনো উত্তর প্রদেশের সিকন্দারপুর, কখনো ফেফনা, আবার সিকান্দারপুর , আবার বেগুসরাই থানার প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে ঘুরে একটায় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে, ”क्या बंगाल से कोई यहां आया? “पता नहीं” পতা নেহি, শুনতে শুনতে অরিত্র আর সত্য নারায়ণ নিজেরাই হাসিঠাট্টা করত! ব্যারাকপুর থেকে কোন সিনিয়র ফোন করলেও উত্তর “পতা নেহি!”
না এবার খবর পাক্কাঅবশেষে ন’দিনের টানা পরিশ্রমের পর উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার ফেফনা থানা এলাকায় স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ব্যারাকপুর পুলিশের সিটের দুই অফিসার সত্যনারায়ণ পান্ডে আর অরিত্র চন্দ্র ফেফনার প্রত্যন্ত গ্রামের একটি খাটালে রেড করে। ঘুমের ঘোরে থাকা রাজেশ আর বিশাল কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের হাতকরি পরিয়ে দেয় সত্যনারায়ণ পান্ডে।
গতকাল আসামিদের বালিয়া জেলার মহামান্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হলে আদালত 4 দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ন’দিনের পরিশ্রম ভুলে 700 কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাvড়ি দিয়ে সোজা আসামিদের নিয়ে এসে দেড় দিনের মধ্যে আজকেই ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করাবে তাঁরা। ক্লান্ত শরীর কিন্তু মনের দৃঢ়তার সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ করবে না আজ……