হন্তদন্ত হয়ে ফোন করছিলেন করিনা কাপুর!সঙ্গে উন্মাদের মতো চিৎকার! কিন্তু সেই মুহূর্তে, অত রাতে সাহায্য মেলেনি। সইফ আলি খানের ওপর হওয়া হামলার রাতে কী পরিস্থিতিতে ছিলেন সইফ-ঘরনি করিনা? কেনই বা সেদিন রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট্ট তৈমুরের সঙ্গে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল সইফকে? সুস্থ হওয়ার পর এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন নবাব।
গত মাসের ১৬ জানুয়ারি ছিল সেই ভয়াবহ রাত। যেদিন বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে হামলার মুখে পড়েন বলি অভিনেতা। সেই রাত মনে পড়লেই যেন শিউরে ওঠে গা। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে সেই রাত নিয়ে সইফ বলেন, “করিনা রিকশা, ক্যাব বা যে কোনও গাড়ির জন্য চিৎকার করছিল। আমি বললাম, আমার ব্যাথা হচ্ছে। পিঠে কোথাও সমস্যা হচ্ছে। তখনই ও সিদ্ধান্ত নেয়। বলে, তুমি দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাও। আমি দিদির বাড়ি যাচ্ছি।”
কারণ সেই সময় নাকি বারবার ফোন করার সত্ত্বেও কেউ অভিনেত্রীর ফোন তুলছিল না। সেই রাতে কাউকেই পাশে পাননি করিনা। সইফ আরও বলেন, “এরপরেই আমরা অসহায় ভাবে দু’জন দু’জনের দিকে তাকালাম, আমি বললাম, আমি ঠিক আছি। আমি মরব না। সেই সময়ই তৈমুরও জিজ্ঞেস করছিল, বাবা তুমি কি মরে যাবে? আমি বলি, না।”
সইফ জানান, করিনা সেদিন ডিনার করতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর সকালে কাজ থাকায় সইফ বাড়িতেই ছিলেন। এরপরই বাড়ি ফেরেন অভিনেত্রী এবং ঘুমোতে যান তারকা দম্পতি।
আচমকাই এক পরিচারিকা ছুটে এসে জানান, একটি অচেনা লোক জেহ-এর ঘরে ঢুকে পড়েছে। শুধু তাই নয়, সে ছুরি বের করে রীতিমতো মুক্তিপন দাবি করছে। শুনে সইফ দ্রুত ছুটে যান জেহ-এর ঘরে। এরপরেই হয় সেই ভয়াবহ ঘটনা। রীতিমতো ছ’বার ছুরিকাঘাতের পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সইফকে।
সবশেষে দীর্ঘ জল্পনার ইতি টেনে সইফ জানান, করিনা হন্তদন্ত হয়ে ফোন করছিলেন। কাউকেই পাচ্ছিলেন না। তাই স্বামীকে রওনা করে দিদির বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন করিনা। অগত্যা ওই রাতে একরত্তি তৈমুর এবং তাঁদের বাড়ির কর্মচারী হরি তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান। একটি অটোয় তাঁরা পৌঁছন হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয় সইফের। এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ আছেন অভিনেতা।