অফবিট

রেটিনল | স্কিনের জাদুকর!

স্টেপ-১

আবার মনে করিয়ে দেই, সবচেয়ে জেনটল ফর্মুলা দিয়ে শুরু করবেন!

 

“কিন্তু আমি তো চাই ক্রিম দেয়ার পরদিনই যেন মুখ মুন্নু সিরামিক প্লেটের মতো ঝিকমিক করুক!!!”

 

কিন্তু প্লিজ বিশ্বাস করুন, আপনার এই ঘ্যানর ঘ্যানর আর পেশেন্স-এর অভাবের ফলে আপনার স্কিনের অবস্থা হরতালের পোড়া টায়ার থেকেও ভয়াবহ হতে পারে! তাই দয়া করে ম্যাক্সিমাম ধৈর্য নিয়েই রেটিনল রুট-এ পা দেবেন। তাই কোনভাবেই “বেশি মাখলে বেশি রেজাল্ট”– এই নীতিতে চলবেন না। গত পর্বে বেশ কিছু খুব মাইলড মিনিমাম শক্তির রেটিনলের কথা বলা হয়েছে। অবশ্যই ঐ ধরনের প্রোডাক্ট দিয়েই শুরু করবেন। এতে করে ৩-৪ মাসে স্কিন-এ পজিটিভ চেঞ্জ দেখবেন, রেটিনল-এর পাওয়ার-এ স্কিন শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে খুলে খুলে খুশকির মতো পড়বে না, চামড়া উঠে লাল হয়েও যাবে না। সান সেনসিটিভিটি-ও কনট্রোল-এ থাকবে।

 

স্টেপ ২

আবার রিপিট করি, ভুলেও দিনের বেলা রেটিনল ইউজ করবেন না !!

 

ভুলেও না! রেটিনল মুখে থাকা অবস্থায় জানালার পাশে দাঁড়ালে একটু রোদ যে মুখে পড়ে, বা চুলার কাছে গেলে হিট মুখে লাগে সব বিন্দু বিন্দু পাপের হিসাব দিতে হবে। তাই প্লিজ সেলফ কনট্রোল প্র্যাকটিস করবেন।

 

রেটিনল শুধু মাত্র রাতে ইউজ করবেন …

 

এবং অবশ্যই দিনের বেলা মিনিমাম SPF 35 OR UP BROAD SPECTRUM সানস্ক্রিন ইউজ করবেন।

 

যদি মাথায় চিন্তা আসে ‘আজকে সানস্ক্রিন-টা বাদ দেই! কিই বা হবে?’

 

উই রিপিট, যা হবে সেটা আপনি হজম করতে পারবেন না! SO DON’T TRY!

 

স্টেপ ৩

আপনার রুটিনে কি অন্যান্য এসিড বেইজড উপাদান আছে? ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখুন…

 

কোন ভাবেই রেটিনল একটিভ উপাদান যেমন এসিড,কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর-এর সাথে ইউজ করা যাবে না।

 

আপনার রুটিনে যদি ভিটামিন সি, গ্লাইকলিক এসিড, ল্যাকটিক এসিড, এনজাইম বেইজড উপাদান, স্যালিসিলিক এসিড (অর্থাৎ যেকোনো ধরনের এসিড) থাকে তবে সেই উপাদান আপনি যেদিন ইউজ করছেন সেই একইদিনে ‘রেটিনল’ ইউজ করতে পারবেন না!

 

বুঝলেন না? ধরুন শনিবার রাতে আপনি ভিটামিন-সি দিয়েছেন, তার মানে এই ভিটামিন সি-এর আগে পড়ে আপনি রেটিনল মাখতে পারবেন না। তাহলে কখন পারবেন?

 

-২৪ ঘণ্টা পড়ে, মানে রবিবার রাতে… ক্লিয়ার?

 

আবার ধরুন, রবিবার রাতে আপনি গ্লাইকলিক এসিড দিয়ে ফেস এক্সফলিয়েট করলেন, তাহলে কি হবে? আবার আপনাকে ২৪ ঘণ্টা ওয়েট করতে হবে… অর্থাৎ, আপনার রুটিন এমন হবে যেন একইসাথে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে এসিড আর রেটিনল-এর ক্ল্যাশ না হয়…

 

এখনও বুঝতে না পারলে মাথায় ইনফরমেশন-টা রাখুন, It will make sense later!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.