পরিচালকদের ছাড়াই টলিপাড়ায় শুট হল শুক্রবার। প্রবল চাপানউতর স্টুডিয়ো এলাকায়। পরিচালক-গিল্ডের ডাকা ধর্মঘট সত্ত্বেও ফেডারেশনের তরফে সিরিয়ালের শুট শুরুর নির্দেশ আসে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে সময় মতো ‘লাইনার’ পৌঁছনো হয়। কল-টাইম মতো সেটে যান কলাকুশলীরা। সকালের দিকে যদিও অনিশ্চয়তা ছিল শুট আদৌ হবে কিনা। কিন্তু দুপুরের দিকে কাজ শুরু হয়। পরিচালক ছাড়াই।
তিন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজিৎ রায়কে অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণার পরই পরিচালক গিল্ড-ফেডারেশন সমস্যা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।
তবে শুটিং ফ্লোর থেকে তাঁদের মতামত ব্যক্ত করলেন শিল্পীরা৷ শ্বেতা ভট্টাচার্য, মিশমি দাস অনুরাধা মুখোপাধ্যায়রা জানান, তাঁরা সকাল থেকেই সেটে বসেছিলেন। মেকআপ করে, নির্ধারিত পোশাক পরে তাঁরা প্রস্তুত কাজের জন্য৷ কিন্তু শুটিং হবে কিনা তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না। তবে পরে শুরু হয়েছে কাজ। তবে তিন জনেরই একটাই বক্তব্য, যত তাড়াতাড়ি এই অচলাবস্থা কেটে যায়, ততই ভাল।
মিশমি বলেন, “শিল্পী হিসেবে আমার দায়িত্ব এটাই যে কলটাইম দিলে সময় মতো চলে আসা৷ শো-টার প্রতি, প্রযোজনা সংস্থার প্রতি আমার দায়িত্ব আছে। এই সমস্যাটায় সেভাবে আমার তো কোনও ভূমিকা নেই। সব ঠিক হয়ে যাক এটাই চাই।” পরিচালককে ছাড়া শুটিং করা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
শ্বেতা অবশ্য জানান, সহকারী পরিচালক শুট করলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু পরিচালকের জায়গা ওভাবে কি পূরণ করা যায়? তিনি তো নিজের দক্ষতার কারণেই এই পদে বসেছেন। তাঁর কথায়, “পরিচালজ হলেন ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ। সেখানে ক্যাপ্টেনছাড়া শিপ কীভাবে চলতে পারে, আমার সন্দেহ আছে। তাছাড়া চারদিকটা কেমন দমবন্ধ করা হয়ে রয়েছে। হাসাহাসি নেই, তাড়াহুড়ো নেই। সবাই গোমড়া মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাল লাগছে না কারওরই।”
অনুরাধার কথাতেও একই সুর। তিনিও চান, পরিচালক ফিরে আসুন। যাতে তাঁদের কাজ আগের মতো আনন্দ করে হতে পারে। আর্টিস্ট ফোরাম বা চ্যানেল অথবা প্রোডাকশন হাউজ থেকে কাজ বন্ধের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। তাই তাঁদের কাছে এর থেকে বেশি তথ্য নেই বলেই জানান।