ত্বকচর্চায় মাস্ক ও প্যাক সমূহ
আসুন তবে দেখে নিই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ১৩ টি মাস্ক ও প্যাক যেগুলো আপনাকে দেবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুন্দর স্কিন। আশা করি, লেখাটিতে বর্ণীত ত্বকচর্চায় মাস্ক ও প্যাক ব্যবহার পদ্ধতি জেনে আপনি উপকৃত-ই হবেন।
১) দুধের সর
ত্বকচর্চায় মুখে দুধের সরের ব্যবহার –
ত্বকচর্চায় মাস্ক ও প্যাক সমূহের মাঝে প্রথমটি হলো দুধের সর। চোখের নিচে কালি দূর করতে দুধের সর অতুলনীয়। মুখের যেসব জায়গায় কালো ছোপ ছোপ দাগ আছে এবং চোখের আশেপাশে কালো দাগ আছে ঐ সকল জায়গায় দুধের সর দিয়ে ১০ মিনিট মালিশ করুন। তারপর লেবু ঘষে তৈলাক্ত ত্বক থেকে রেহাই পেতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লেবুতে আছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা ত্বক উজ্জ্বল করে। বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপ আঁটসাঁট করতে কাঁচাদুধের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। শুষ্কত্বক চর্চার জন্য লেবুর রসের সঙ্গে মধু, বেসন ও দুধের সর দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দুধের সরের পরিবর্তে শসা ব্যবহার করুন। বাকি উপাদান একই থাকবে।
২) লেবু
ত্বক উজ্জ্বল করতে লেবু দারুণ কাজ করে। কালিমা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উপর জমে থাকা মরা চামড়া, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস এবং ব্রণের সমস্যা সমাধান করে। একটি লেবুর অর্ধেক কেটে প্রতিদিন ১০ মিনিট মুখে মালিশ করুন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। আরও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য লেবুর সঙ্গে অল্প পরিমাণে গায়ে মাখা হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
৩) লেবু ও চিনি
ত্বকের যত্নের জন্য লেবু-চিনি মেশানো ফেসিয়াল মাস্ক খুবই প্রচলিত পদ্ধতি। পরিষ্কার ও মশৃণ ত্বকের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারে। মুখ থেকে গলা পর্যন্ত এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালোভাব দূর হবে। মুখে আদ্রভাব বজায় রাখতে এই মিশ্রণে অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েল দিতে পারেন। হাত ও পায়ের রোদে পোড়াভাব দূর করতেও এই মিশ্রণ কার্যকর।
৪) বাটারমিল্ক
দুধ-ছানার পানি বা ঘোল-এ রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা বিভিন্ন দামী প্রসাধনী সামগ্রীতে থাকে। ফেসিয়াল-এর উপদান হিসেবে এটা খুবই কার্যকর। ত্বক চকচকে ও নরম রাখতে সাহায্য করে। এর কিছু প্রাকৃতিক উপাদান শুধু চামড়ার বয়সের দাগ বা ছুলি নিরাময় করে না, পাশাপাশি ত্বকে নিয়ে আসে টানটানভাব। ত্বকের আক্রান্ত এলাকায় তুলা দিয়ে বাটারমিল্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বক পেতে এটা যাদুর মতো কাজ করবে।
বলিরেখা ও চামড়ার খসখসেভাব দূর করতে এক চামচ বাটারমিল্কের সঙ্গে এক চামচ মূলার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। রোদেপোড়াভাব দূর করতে পাঁচ টেবিল-চামচ বাটারমিল্কের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ টমেটোর রস মিশিয়ে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন। মুখের কালো দাগ দূর করতে শুকনা কমলার খোসাগুঁড়ার সঙ্গে বাটারমিল্ক মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।