বাংলার শিল্পের ইতিহাসে ‘সিঙ্গুর’ একটা বড়ো ধাক্কা ছিল। সেইদিন প্রয়াত রতন টাটা বলেছিলেন -‘মমতা টিগার টিপেই দিলেন’। সেই টাটা গোষ্ঠী আবার মুখ ফিরে তাকিয়েছে বাংলার দিকে। বুধবার সন্ধেয় বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বেরানোর সময় সাংবাদিকদের একথা জানান স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টাটা সন্সের দায়িত্বে এখন যিনি রয়েছেন, সেই চন্দ্রশেখরণজির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হয়েছে। বিজিবিএসের উদ্বোধনে না আসতে পারার জন্য উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন, তবে জানিয়েছেন, টাটা গ্রুপের টিম উনি বাংলায় পাঠাবেন। বাংলার জন্য ওরা অনেক কিছু করতে চায়।” শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, সঞ্জীব গোয়েনঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া থেকে শুরু করে দেশ বিদেশের প্রায় দু’হাজার শিল্পপতি উপস্থিত হয়েছেন কলকাতায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে।
প্রসঙ্গত গত সাত বছর ধরে বাংলায় বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলন করে ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে এদিন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এও বলেন, এর মধ্যে ১৬ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এবারেই বিনিয়োগের পরিমাণ ১২ লক্ষ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবারের সংখ্যাটা আরও বাড়বে। আগামীকাল আরও পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার বৈঠক রয়েছে। তা ছাড়া আগামীকাল বিভিন্ন দেশের শিল্পপতিদের সঙ্গে একাধিক মৌ চুক্তি হওয়ার কথা। তারপরই এবারের পুরো বিনিয়োগের অঙ্কটা বলা যাবে। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি খুব স্ট্যাটিসফাই।”এদিনের শিল্প সম্মেলন থেকে থাই ফুডের প্রশংসা করে আগামীদিনে থাইল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাপান-সহ একাধিক দেশের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাকে অনেক দেশ আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপান তো বারে বারে বলছে আপনাদের এখানে এত বিনিয়োগ করছি, একবার আসুন। কিন্তু সমস্যা হয়ে গেছে এখানে তো ১২ মাসে ১৩ পার্বণ নয়, এখন ১০০ পার্বণ। কখনও উৎসব তো কখনও দুর্যোগ, সবকিছুতেই থাকতে হয়।” এখন দেখার বাস্তবে সত্যিই কতটা বিনিয়োব হয়।