ফের পরিচালকের কাজে কোপ! কারণ না দর্শিয়েই কাজ বন্ধ টলিপাড়ার। এর আগে বিনা নোটিসে কাজ শুরু করতে দেওয়া হয়নি পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং জয়দীপ মুখোপাধ্যায়কে। একই সমস্যার মুখোমুখি ছোটপর্দার প্রযোজক-পরিচালক শ্রীজিৎ রায়।
কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কোথায়? উত্তর খুঁজতেই শ্রীজিতের ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার দাসানি স্টুডিয়োতে একজোট হন ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন, সম্পাদক সুদেষ্ণা রায়, সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সদস্য রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচাৰ্য-সহ গিল্ডের অন্যান্য পরিচালক সদস্য।
কী চাইছেন তাঁরা? অনির্বাণের স্পষ্ট জবাব, “বিদ্রোহ কিংবা বিপ্লব নয়, শুধুই সমস্যার সমাধান।” তিনি বলেন, “আমি বুঝতেই পারছি না, কেন এই ভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা আমাদের সংগঠনের তরফ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা জানাতে পারি। কিন্তু সেটিকে ঘিরে কে কী ভাবছেন, তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “ডিরেক্টর্স গিল্ড এই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একটি অংশ। আর এই সদস্য হিসেবেই আমরা আমাদের কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছি। আমরা তাকিয়ে আছি কবে সেই সমস্যাটা মিটবে। এইটুকুই আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বলতে পারি। সব দলের কথাই আমরা ভাবব, এমনটা না। এটা কথোপকথনের রাজনীতি নয়। একটা কমিটি গঠন মানে সাদা কাগজে সই করা নয়। একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়। সেই কমিটি কেন গঠন হয়নি, সেটার উত্তর আমাদের কাছে নেই।”
পরিচালক তথা অভিনেতা জানান, এক দিন সময় চেয়ে নিচ্ছেন তাঁরা এবং সমস্যা না মিটলে আবারও আলোচনায় বসতে রাজি। অনির্বাণ বলেন, “আমরা এক দিন সময় চেয়ে নিচ্ছি। সকলেই সুরাহা চাইছি। কারণ এটা মানুষের রুটিরুজির প্রশ্ন। এখানে কর্মরত কলাকুশলীরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করে না। কাজেই এই সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, সেটাই আমরা বুধবার পর্যন্ত দেখব। সকালের মধ্যে সমাধান না হলে আমরা আবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসব।”